নীলফামারী - ৪ আসনে নৌকার প্রার্থীর দাবিতে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক ঘন্টা বন্ধ থাকবে আগামীকাল

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী - ৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী মনোনয়নের দাবিতে সৈয়দপুরে বিক্ষোভ  মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামীকাল (শনিবার) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘন্টা সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ রাখার কর্মসূচি পালনের  ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
 নীলফামারী -৪ আসন পুনরুদ্ধারে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক স্থানীয় নেতাকর্মী অংশ নেয়। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা নীলফামারী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থীর দাবি জানিয়ে “ দাবি মোদের একটাই নৌকা মার্কার প্রার্থী  চাই” সহ নানা রকম শ্লোগান দেয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের দিনাজপুর মোড়ে (মদিনা মোড়) এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বাবু সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র  মো. আখতার হোসেন বাদল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন, কাজী আব্দুল লতিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, রইস উদ্দিন জোয়ারদার ওরফে মতি জোয়ারদার, আওয়ামী তাঁতী লীগ সভাপতি মহসিনুল হক মহসিন, সৈয়দপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম রয়েল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের পৌর সভাপতি মহসিন মন্ডল মিঠু, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও সিফাত সরকার প্রমুখ।
 সমাবেশে বক্তারা বলেন, নীলফামারী - ৪ (সৈয়দপুর- কিশোরগঞ্জ) আসনটি জেলার একটি মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আসন। আকাশপথে উত্তরজনপদের গেটওয়ে সৈয়দপুর। আর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে এ আসনটি গঠিত। গেল ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত  নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্মুক্ত ছিল। আর এ আসনটিতে সে সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন কর্ণেল (অবঃ) এ এ মারুফ সাকলান। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। পরবর্তীতে গত ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি জাপা (এ) ’র প্রার্থী আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীকে ছেড়ে দিলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন। মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে জনপ্রিয়তার দিক থেকে শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে এবং একই দলের নতুন মুখ আহসান আদেলুর রহমান আদেলের জয় পাওয়ার মত গ্রহণযোগ্যতা নেই। এছাড়া আহসান আদেলুর রহমান আদেল এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত নন। তার সাথে জনগণের সম্পর্ক একেবারেই নেই বলে দাবি করেন। ফলে মহাজোট হিসেবে জাতীয় পার্টিকে এ আসন দেওয়া হলে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। আর আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে ২০০৮ সালের মতো আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। তাই বক্তারা নীলফামারী - ৪ আসনটি পুনরুদ্ধারে ‘উন্মুক্ত’  রাখার দাবি জানান। এর অন্যথা হলে এ আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয় সমাবেশ থেকে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9100780615253032160

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item