নির্বাচনী হালচাল-কুড়িগ্রাম-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই

হাফিজুর রহমান হৃদয়,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির একক প্রার্থী মনোনয়ন তালিকায় থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছে ছয় প্রার্থী। একক প্রার্থী থাকায় জাতীয় পার্টি ও বিএনপির মধ্যে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আওয়ামী লীগ রয়েছে বেকায়দায়।
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় এ আসন এক সময় আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এখন তা জাতীয় পার্টির দুর্গ। আশির দশক থেকেই এ আসনটি দখলে রেখেছে জাতীয় পার্টি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের মাঠে ভোট বাড়লেও জোটের রাজনীতিতে প্রার্থী না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তারপরেও আসনটি জোটগতভাবেই নিজেদের দখলে নিতে মনোনয়নের দৌড়ে নেমেছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

আগে থেকেই এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিলবোর্ড, পোস্টার লাগিয়ে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ভোটারদের কাছে জানান দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। বাড়িয়েছেন নিজেদের কর্মী সংযোগ ও ঢাকায় দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। জাতীয় পার্টি ও বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীর তালিকা অনেক দীর্ঘ আওয়ামী লীগে। দলীয় মিটিং-সিটিং, পোস্টার, বিলবোর্ড ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দলের অনেকেই। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে তরুণ সম্ভাবনাময় প্রার্থী ব্লুমিং নিটওয়ার লিমিটেডের পরিচালক শিল্পপতি মাজহারুল ইসলাম মাজু। মনোনয়নের দৌড়ে এবারই তিনি প্রথম।

অনেক আগে থেকে এ দৌড়ে আছেন দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক নাগেশ্বরী উপজেলা চেয়ারম্যান আছলাম হোসেন সওদাগর। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে তারা দলীয় মনোনয়ন পান। পরে মহাজোট এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরন্নবী চৌধুরী খোকন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে তার বাবা সাবেক সাংসদ শামছুল হক চৌধুরীর মতো জনগণের পাশে থাকতে চান। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের পিতা। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আরও আছেন ষাটের দশকের ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পপতি আখতারুজ্জামান মণ্ডলসহ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদের সহ- সাংগাঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি। দলীয় মনোনয়নের আশায় তারা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, বিলবোর্ড ও পোস্টার লাগিয়েছেন দুই উপজেলার সর্বত্রই।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মতে, এ আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না থাকায় নৌকার ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বারবার।

এদিকে এ আসনটি বর্তমানে জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। পুর্বসূরি এ আসনের ৩ বারের সাবেক সাংসদ আ খ ম শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর পরে তার উত্তরসূরি হিসেবে পরপর ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কুড়িগ্রাম-১ আসনকে নিজেদের দখলে রেখেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। এবারো এ আসন ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি ও দলের নেতাকর্মীরা।

জাতীয় পার্টির দুর্গে হানা দিতে চায় বিএনপির একক প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ সাইফুর রহমান রানা। তাকে বিজয়ী করতে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণে শহর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ঘন ঘন বৈঠকে বসছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

পুরোনো সংবাদ

নির্বাচন 5391253684262892055

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item