নাগেশরীতে রতনপুর মধুরহাইল্যা কাচা রাস্তার বেহাল দশা দুর্ভোগে এলাকাবাসী
https://www.obolokon24.com/2018/09/road.html
কুড়িগ্রামের নাগেশ^রী উপজেলার রতনপুর থেকে মধুর হাইল্যা পর্যন্ত কাচা রাস্তাটি বেহাল অবস্থা হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণ। পাকাকরণ না হওয়ায় শিক্ষা ও ব্যবসাসহ অন্যান্য উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। সরেজিমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকা থেকে নাগেশ^রী পৌরসভার মধুর হাইল্যা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কোনো যান চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি দিয়ে বোর্ডেরবাজার, আদর্শপাড়া, সাপখাওয়া, তেলিয়ানিপাড়, মোল্লারভিটা, মধুরহাইল্যাসহ কয়েক এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচলল করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষাসহ সকল প্রকার যোগাযোগের মাধ্যম এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ১ হাজার জনসাধারন। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে এসব অঞ্চলের মানুষ খুশি থাকলেও তাদের মাঝে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বেহাল রাস্তাটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা-খন্দক। বিভিন্ন জায়গায় দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়েছে। বৃষ্টির দিনে পানি আর কাদা জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় পথচারীদের। অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের কারনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছেন সামাজিক সংগঠন উচ্ছ্বাস এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি প্রতিনিয়ত সাংবাদিক, স্থানীয় সরকার, রাজনীতিবিদ, ও সরকারি কর্মকর্তাসহ, চেয়ারম্যানগণকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি তুলে ধরছেন। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিজান বলেন, সাপখাওয়া বাজারে আমার ছোট খাটো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু বাজার যেতে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। বৃষ্টির দিনে রাস্তা দিয়ে চলাচর করতে পারি না। সাপখাওয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ডা. শেখ মো. নুর ইসলাম জানান, আমাদের বাড়ি থেকে বাজার যাওয়া আসার রাস্তাটিতে কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দক রয়েছে। গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায না। বৃষ্টির দিনে যাতায়াতই বন্ধ করি। নাগেশ^রী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোর্শেদা, লিজা বলেন প্রতিনিয়ত আমরা এ রাস্তা দিয়ে কলেজে যাই। রাস্তা খরাপের কারনে দ্বিগুন ভাড়া দিলেও রিকশা যায় না। তাই হেঁটে যেতে হয়। সাপখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রয়হান, লিপা, রাহাত বলেন বৃষ্টির দিনে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে যায় অনেকেই। রতনপুর এলাকার বাসিন্দা রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাসুম বলেন, কয়েক এলাকার মানুষের চলাচলের মাধ্যম এই রাস্তা। কিন্তু এই কাচা রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় অনেকদূর ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এতে খরচও দ্বিগুণ পড়ে। রাস্তাটি অবিলম্বে পাকাকরণ হলে প্রায় ২০হাজার মানুষ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য একটি প্রকল্পে ধরা আছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।