সৈয়দপুরে নাটকের শুটিংয়ের নামে স্কুল ছাত্র অপহরণের চেষ্টা , অপহরণকারী আটক

অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী নায়ক ফয়সাল

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি::নাটকের শুটিং হবে। সৈয়দপুরে ১০ মিনিট, দিনাজপুর কারাগারের সামনে ১০ মিনিটসহ বেশ কয়েক জায়গায় শুটিং হবে। নায়কের ছোট ভাইকে অপহরণ করার দৃশ্য ধারণ করা হবে। এভাবেই পরিকল্পনা করে আড়াই হাজার টাকায় প্রাইভেট কার ভাড়ায় নিয়েছিল অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী নায়ক ফয়সাল (১৮)। তবে সে ছিল পর্দার আড়ালে। তবে কার চালকের সাহসী পদক্ষেপে রক্ষা পায় অপহৃত স্কুল ছাত্র আমান (১৪)। পরে আমান বাসায় এসে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসীকে জানালে তারা পরিকল্পনাকারী ফয়সালকে (২) আটক করে পুলিশে দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়কের বসুনিয়াপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া স্কুল ছাত্র আমানের বড় ভাই আরমান বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া সাহেবপাড়া হানিফ মোড় এলাকার মৃত জব্বার আলী পুত্র রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মো. আমান (১৪) জানায়, দুপুরের দিকে ফয়সালের পাঠানো ৩ যুবক তার কাছে এসে আকাশ নামে তার এক সহপাঠির ঠিকানা জানতে চায়। সে ঠিকানা দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাড়ি চিনিয়ে দিতে বলে। পরে কার চালক পরিচিত থাকায় সে গাড়িতে ওঠে। এ সময় অপহরণকারীরা আকাশের বাড়ি রসুলপুরের দিকে না গিয়ে অন্য রাস্তায় যেতে বলে কার চালক এনামুল হককে (২৮)। এতে চালকের সন্দেহ হওয়ায় তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা জানায় একটি নাটকের শুটিং হবে এবং নায়কের ভাইকে অপহরণ করা হবে এবং এ দৃশ্য কয়েক জায়গায় ধারণা করা হবে। এ সময় ক্যামেরাসহ অন্যান্য মালামাল কোথায় প্রশ্ন করা হলে তারা বলে আপনি গাড়ি চালান। এরপরেই তারা ওই স্কুল ছাত্রের হাত পা বাঁধার চেষ্টা করে। তখন স্কুল ছাত্র আমান চালকের সাহায্য চাইলে কার চালক বাইপাস সড়কের বসুনিয়া পাড়া মোড়ে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে নিচে নেমে পড়েন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পালিয়ে যায় আমান। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়িতে থাকা ৩ অপহরণকারীও পালিয়ে যায়। পরে কার চালক এনামুলের সহযোগিতায় স্কুল ছাত্র বাসায় এসে ঘটনাটি সকলকে জানালে তারা সাহেবপাড়া এলাকা থেকে মো. মিলনের ছেলে মুল পরিকল্পনাকারী ফয়সালকে আটক করে।
পরে গণপিটুনী দেওয়ার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় কথা হয় কারচালক এনামুলের সাথে। সে উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বলে তাদের আচার আচারণেই আমার সন্দেহ হয় প্রথম থেকেই। আমিও সতর্ক ছিলাম। পরে বাইপাস সড়কে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে নেমে পড়লে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
 সৈয়দপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাজাহান পাশা বলেন, আটক ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে তদন্তেরস্বার্থে বাকি ৩ জনের নাম প্রকাশ করেননি। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্র আমানের ভাই বাদি হয়ে ফয়সালসহ ৪ জনের নামে একটি মামলা করেছেন।       
 সৈয়দপুরে নাটকের শুটিংয়ের নামে স্কুল
ছাত্র অপহরণের চেষ্টা , অপহরণকারী আটক
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
 নাটকের শুটিং হবে। সৈয়দপুরে ১০ মিনিট, দিনাজপুর কারাগারের সামনে ১০ মিনিটসহ বেশ কয়েক জায়গায় শুটিং হবে। নায়কের ছোট ভাইকে অপহরণ করার দৃশ্য ধারণ করা হবে। এভাবেই পরিকল্পনা করে আড়াই হাজার টাকায় প্রাইভেট কার ভাড়ায় নিয়েছিল অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী নায়ক ফয়সাল (১৮)। তবে সে ছিল পর্দার আড়ালে। তবে কার চালকের সাহসী পদক্ষেপে রক্ষা পায় অপহৃত স্কুল ছাত্র আমান (১৪)। পরে আমান বাসায় এসে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসীকে জানালে তারা পরিকল্পনাকারী ফয়সালকে (২) আটক করে পুলিশে দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়কের বসুনিয়াপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া স্কুল ছাত্র আমানের বড় ভাই আরমান বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া সাহেবপাড়া হানিফ মোড় এলাকার মৃত জব্বার আলী পুত্র রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মো. আমান (১৪) জানায়, দুপুরের দিকে ফয়সালের পাঠানো ৩ যুবক তার কাছে এসে আকাশ নামে তার এক সহপাঠির ঠিকানা জানতে চায়। সে ঠিকানা দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাড়ি চিনিয়ে দিতে বলে। পরে কার চালক পরিচিত থাকায় সে গাড়িতে ওঠে। এ সময় অপহরণকারীরা আকাশের বাড়ি রসুলপুরের দিকে না গিয়ে অন্য রাস্তায় যেতে বলে কার চালক এনামুল হককে (২৮)। এতে চালকের সন্দেহ হওয়ায় তাদের প্রশ্ন করা হলে তারা জানায় একটি নাটকের শুটিং হবে এবং নায়কের ভাইকে অপহরণ করা হবে এবং এ দৃশ্য কয়েক জায়গায় ধারণা করা হবে। এ সময় ক্যামেরাসহ অন্যান্য মালামাল কোথায় প্রশ্ন করা হলে তারা বলে আপনি গাড়ি চালান। এরপরেই তারা ওই স্কুল ছাত্রের হাত পা বাঁধার চেষ্টা করে। তখন স্কুল ছাত্র আমান চালকের সাহায্য চাইলে কার চালক বাইপাস সড়কের বসুনিয়া পাড়া মোড়ে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে নিচে নেমে পড়েন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পালিয়ে যায় আমান। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়িতে থাকা ৩ অপহরণকারীও পালিয়ে যায়। পরে কার চালক এনামুলের সহযোগিতায় স্কুল ছাত্র বাসায় এসে ঘটনাটি সকলকে জানালে তারা সাহেবপাড়া এলাকা থেকে মো. মিলনের ছেলে মুল পরিকল্পনাকারী ফয়সালকে আটক করে।
পরে গণপিটুনী দেওয়ার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় কথা হয় কারচালক এনামুলের সাথে। সে উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বলে তাদের আচার আচারণেই আমার সন্দেহ হয় প্রথম থেকেই। আমিও সতর্ক ছিলাম। পরে বাইপাস সড়কে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে নেমে পড়লে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
 সৈয়দপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাজাহান পাশা বলেন, আটক ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে তদন্তেরস্বার্থে বাকি ৩ জনের নাম প্রকাশ করেননি। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্র আমানের ভাই বাদি হয়ে ফয়সালসহ ৪ জনের নামে একটি মামলা করেছেন।    

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 262232505586311008

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item