ট্রাফিক সপ্তাহে নীলফামারীতে ৯৯২ মামলা॥ বৈধ কাগজের জন্য ভিড় বেড়েছে বিআরটিএ অফিসে

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ আগস্ট॥ ট্
রাফিক সপ্তাহের আরো তিনদিন সময় বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারী জেলার যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীবাহী বাস সহ ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারের বৈধ কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে যানবাহনের বৈধ কাগজের জন্য ভিড় বেড়েছে নীলফামারী বিআরটিএ অফিসে।
আজ রবিবার সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায় ট্রাফিক সপ্তাহের ৭দিনে জেলা জুড়ে মামলা হয়েছে ৯৯২টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৭৮৪টি, ট্রাক ৮৬টি, বাস ১২টি, পিকআপ ভ্যান ৬১টি, কাভার্ডভ্যান ২৫টি, প্রাইভেট কার ১১টি, মাইক্রোবাস ১৩টি। এসব মোটরযানের চালকের ডাইভিং লাইন্সেস, ফিটনেস, বীমাসহ অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে ট্রাফিক সপ্তাহের অতিরিক্ত তিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাস, পন্যবাহী ট্রাক সীমিত হয়ে পড়েছে। যেখানে ১২মিনিট অন্তর অন্তর যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতো সেখানে দেড় ঘন্টা পড়েও একটি বাস চলাচল করে না। এতে যাত্রীরা সাধারণত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি কাঁচামাল ও বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য সামগ্রী পরিবহনে দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। কারণ ওই সকল যানবাহনে বৈধ কাগজপত্র হালনাগাদ নেই। ফলে তারা মামলার ভয়ে রাস্তায় যানবাহন বের করছে না।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ সুত্র মতে, জেলার বিভিন্ন রুটে ৬০ শতাংশ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বৈধ কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকার কারণে। পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি জানায় একই কথা। তারা সকলে যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র হালনাগাদের জন্য অতিরিক্ত জরিমানা  মওকুফের দাবি করেছে।
নীলফামারী ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সেলিম আহমেদ বলেন ট্রাফিক সপ্তাহের পাশাপাশি প্রতিদিন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে চেকপোস্ট বসিয়ে জেলা জুড়ে ৯৯২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে যান বাহনের বৈধ কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য  বিআরটিএ অফিসে ভিড় বেড়েছে। রবিবার পর্যন্ত ৩০০ জনকে দেয়া হয়েছে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছেন ৯৭ জন।
বিআরটিএ নীলফামারী সার্কেল সূত্র জানায়, দফতর থেকে নীলফামারীতে ২৫ হাজার ৪৭৮টি মোটরসাইকেল, ১৪টি কার, ১১টি মাইক্রোবাস, ৭টি অ্যাম্বুলেন্স, ৩৮টি জিপ, ৮৭টি পিকআপ, ৭টি ট্রাক, ১৮টি বাস, গ্রুপ ক্যারেজ ৩টি, তেল ট্যাংকার ১টি, পানিবাহী ট্যাংকার ৫টির রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে।
বিআরটিএ নীলফামারী সার্কেলের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম জানান, সচরাচর সপ্তাহে অন্তত ৮০ জন শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ রেজিস্ট্রেশনের জন্য এলেও এখনকার চিত্র একেবারে আলাদা। দৈনন্দিন অনেকে ভিড় করছেন অফিসে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, আমরা এখন আর কোনো কথা শুনবো না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঘাটতি থাকলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8964638114376075298

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item