রংপুরের মালেকা বেগম হত্যা রহস্য অনুদঘাটিতই রয়ে গেলো

হাজী মারুফ-
রংপুর মহানগরীর দক্ষিন গনেশপুর এলাকায়, মালেকা বেগম(৪৭) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ও মৃতের স্বামী রেজাউলের ভাষ্যমতে মালেকা বেগমকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছিল। হত্যার ১০ ঘন্টা পর অজ্ঞাত ব্যাক্তি কর্তৃক সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে নিয়ে গেলেও রহস্যজনক এই হত্যাকান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অদ্যাবধী কাউকে গেফতার অথবা আটক করা হয়নি। এদিকে গণেশপুর এলাকা সহ গুরাতীপাড়া, বাবুখা, পূর্বগণেশপুর, মুলাটোল, বকুলতলা এই বিশাল এলাকা জুড়ে প্রায় প্রকাশ্যে এবং সর্বজন জ্ঞাত এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে মালেকা বেগমকে হত্যাকরে আত্বহত্যার প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে দাবী করা হলেও অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুুর রহমান মিজু সেটি মানতে নারাজ। আর কাউন্সিলর যেহেতু জন প্রতিনিধি সেইহেতু তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পুলিশও খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি, যে কারণে কাউকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। অথচ এলাকার প্রবীন ব্যক্তিদ্বয় এবং মৃতের পার্শবতি বাড়ির লোকজনের ভাষ্যমতে রেজাউলের ছেলে ও ছেলের বউ আখি বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসবে এই হত্যার মূল রহস্য। হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়ার রাতে মৃতের স্বামী রেজাউল গ্রামবাসীকে বলেছিল, খাবার চাওয়ায় পুত্রবধু আখি বেগম ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রী মালেকা বেগমকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। সেই রাতে রেজাউল এমন কথা বললেও কি কারণে হত্যার কথা বাবা ছেলে পুলিশকে না জানিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কাউন্সিলর কে জানালো এবং কার নীর্দেশে ঐ রাতে মৃতের ছেলে মাসুম এলাকার কতিপয় ব্যাক্তিকে নগদ টাকা দিয়ে, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বারণ করলো, তা এখোনও জানা যায়নি। মালেকা বেগম হত্যা সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা সহ স্থানীয় দৈনিক প্রথম খবরে প্রকাশিত হলে, তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিয়ে পুণঃরায় কাউন্সিলর মিজুকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করেন ভাই পত্রিকায় সংবাদ আসছে, মালেকা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি ঢাকা থেকে আসলেও বলছেন যে এটি আত্বহত্যা, আসলে ব্যাপারটি কি? উত্তরে কাউন্সিলর মিজু বলেন আরে সাংবাদিকদের কথা বাদ দেন, ওরা ৪ টাকার পেপারে কি লিখলো না লিখলো তাতে আপনার আমার কি যায় আসে। এ সময় ঐ কাউন্সিলর ক্ষিপ্ত হয়ে, সংবাদপত্র সম্পর্কে বিভিন্ন কুটুক্তি করে। এদিকে মালেকা হত্যা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন কাউকে আটক না করার কারণ কি, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকতা বলেন, সময় যায়নি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমি চিহ্ন থাকলেও সুরতহাল রিপোর্টে তা উল্লেখ না থাকার কারন কি? প্রতিনিধির এমন প্রশ্নের উত্তরে, তদন্ত কর্মকর্তা বলেন আমি তেমন কিছু পাইনি তবে যদি এমন কোন চিহ্ন থেকে থাকে তবে সেটিও ময়নাতদন্তে উল্লেখ থাকবে।  অপরদিকে কাউন্সিলর মিজুর ভ’মীকা নিয়ে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গনেশপুর এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের একাধীক সদস্যও এটিকে হত্যকান্ড বলে দাবী করছেন। তাদেরও প্রশ্ন একজন মাকে হত্যার ব্যাপাওে কাউন্সিলর কেন রহস্যময় ভুমিকা পালন করছেন। এখানে তার স্বার্থ কি? প্রতিবেদক সরেজমিন ঐ এলাকায় গেলে জানতে পারেন মৃতের স্বামী রেজাউল সম্প্রতি পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয় করেন যার নগদ অর্থ রেজাউলের নিকট গচ্ছিত, মার্লেকার মৃত্যু রহস্য ধামাচাপা দেয়ার পিছনে ঐ অর্থেও একটি গুরত্বপূর্ণ ভ’মিকা আছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5090771389107302537

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item