ডোমার উপজেলায় স্মরনকালের ভয়াবহ শিলা বৃষ্টি (ভিডিও সহ)


এআইপলাশ-
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটীতে স্মরনকালের ভয়াবহ শিলা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে।আজ শুক্রবার(৩০ মার্চ)সকাল সারে নয়টা থেকে প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপি আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে এলাকার হাজার হাজার বাড়িঘরের টিন ঝাঁঝড়া হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উঠতি আবাদি ফষল ও থাকার জায়গা নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন লোকজন। এ ছাড়া গাছপালা, আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলাতে ওই এলাকার  অন্তত শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন।পাথর বর্ষনের তীব্রতায়  প্রায় ঘরবাড়িতে বড় বড় ছিদ্র হয়েছে। যা বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই উত্তর-পশ্চিম আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই হালকা বৃষ্টি পরতে থাকে। এরই মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক শিলাবর্ষণ। টিনও সিমেন্টের চালা এবং টালির ঘর নিমিষের মধ্যে ঝাঁঝড়া হয়ে যায়। এতে বৃষ্টির পানি বসতবাড়ির ঘরের প্রবেশ করতে থাকে। এ ছাড়া বাড়ির চালার ওপর তুলে রাখা আবাদি ধান ভিজে একাকার হয়ে যায়।শিলা বৃষ্টিতে এলাকার শতশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।ভোগডাবুড়ি,কেতকীবাড়ি,বামুনিয়া, জোড়াবাড়ি ও গোমনাতী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এই ভারী শিলাবৃষ্টি হয়।চিলাহাটীর খানকাপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ বাচ্চামিয়া(৮৫) বলেন, আমার বয়সে এত বড় বড় শিলা পড়তে দেখিনি। একই গ্রামের আমেনা বেওয়া,নুরজাহান,সুরুজ মিয়া,মনছুর মিয়া জানান, তাদের গ্রামের বেশির ভাগ টিনের চালা ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে। বামুনিয়ার খয়রাত হোসেন,আব্দুল হালিম, শিশির ও নুরুল ইসলাম জানান, তাদের এলাকার অধিকাংশ ঘরের টিন ঝাঁঝড়া হয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান যে শিলা পড়েছে তা প্রায় তিন থেকে সাড়ে ৪০০ গ্রাম করে ওজন হবে  ।
এ ব্যাপারে ভোগডাবুড়ি ইউপির চেয়ারম্যান,এক্রামুল হক জানান তার নিজের বাড়ির টিন ঝাঁঝড়া হয়ে আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। গরিব মানুষেরা চরম ভোগান্তিতে পরেছেন। এই ইউনিয়নের প্রায় পঁচাশি ভাগ বাড়িঘরের টিন ঝাঁঝড়া হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু জানান,তার ইউনিয়নের প্রায় আশি ভাগ বাড়িঘরের টিন ঝাঁঝড়া হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।তিনি এই ঘটনার পর থেকে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর খোজ খবর নেন বলেও তিনি জানান।
জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান জানান, বিগত সময়ে এত বড় বড় শিলাবর্ষণ তিনি দেখেননি। এটি নজির বিহীন। তবে হালকা টিন দিয়ে নির্মিত বাড়ির ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনীয়া ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার তালিকা করার জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মেম্বার/চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে, তারা তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবেন।এ ছাড়া তারা দুপুরের পর  ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার দুপুরের পর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে সাহায্যের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4228713085122614042

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item