রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বড় ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
https://www.obolokon24.com/2018/02/rangpur_7.html
হাজী মারুফ /এস.কে.মামুন
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মুক্তিযোদ্ধা ছোট ভাই সেকেন্দার আলীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বড়ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এই আদেশ দেন। মামলা ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, শ্যামপুর পালিচড়া মাধবপুর এলাকায় জমি নিয়ে ছোট ভাই সেকেন্দার আলী বাদশার সাথে বড় ভাই আবদুল খালেকের বিরোধ চলছিল। ২০১৪ সালের ৯ জুলাই তারিখে ছোট ভাই জমিতে ধান রোপনের সময় বড় ভাই আবদুল খালেক (৬৫) তার ছেলেসহ ছোটভাই সেকেন্দার আলী বাদশা (৫৭)কে পিটিয়ে আহত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এর পরদিন ১০ জুলাই নিহত সেকেন্দার আলী বাদশার ছেলে কামরুজ্জামান লাবু বাদি হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর কোতয়ালি থানার এসআই মনোয়ার হোসের তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর সাক্ষি প্রমাণ শেষে গতকলি মঙ্গলবার রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার ১৬ আসামীর মধ্যে আবদুল খালেক, ভাতিজা মিটল ওরফে লিটন(২৮) ও রাশেদ মিয়া(২৫)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যান্য ৭ আসামী আজাদুল হক(৩০), আমিরুল হক(৩২) রায়হান(২৭), আবদুল কুদ্দুস(৬০), মঞ্জু মিয়া(৩২), মাহবুব(২৬) ও কামরুল ইসলাম(২৫)কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া ৬ আসামীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক এবং আসামী পক্ষে ছিলেন আবদুর রশীদ।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মুক্তিযোদ্ধা ছোট ভাই সেকেন্দার আলীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বড়ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এই আদেশ দেন। মামলা ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, শ্যামপুর পালিচড়া মাধবপুর এলাকায় জমি নিয়ে ছোট ভাই সেকেন্দার আলী বাদশার সাথে বড় ভাই আবদুল খালেকের বিরোধ চলছিল। ২০১৪ সালের ৯ জুলাই তারিখে ছোট ভাই জমিতে ধান রোপনের সময় বড় ভাই আবদুল খালেক (৬৫) তার ছেলেসহ ছোটভাই সেকেন্দার আলী বাদশা (৫৭)কে পিটিয়ে আহত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এর পরদিন ১০ জুলাই নিহত সেকেন্দার আলী বাদশার ছেলে কামরুজ্জামান লাবু বাদি হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর কোতয়ালি থানার এসআই মনোয়ার হোসের তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর সাক্ষি প্রমাণ শেষে গতকলি মঙ্গলবার রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার ১৬ আসামীর মধ্যে আবদুল খালেক, ভাতিজা মিটল ওরফে লিটন(২৮) ও রাশেদ মিয়া(২৫)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যান্য ৭ আসামী আজাদুল হক(৩০), আমিরুল হক(৩২) রায়হান(২৭), আবদুল কুদ্দুস(৬০), মঞ্জু মিয়া(৩২), মাহবুব(২৬) ও কামরুল ইসলাম(২৫)কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া ৬ আসামীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক এবং আসামী পক্ষে ছিলেন আবদুর রশীদ।