পীরগঞ্জ এক তহশিলদারের কান্ড একজনের জমি দিলেন অন্যজনকে !

মামুনুর রশিদ মেরাজুল -
পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস থেকে এক সহকারী তহশিলদারের যোগসাজসে একজনের জমি অন্যজনের নামে নামজারি (খারিজ) করে দেয়ার ঘটনায় হামলা-মামলার ঘটনা চলছে। উপজেলার মদনখালী গ্রামের মৃত-রইচ উদ্দিনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম তার জমি ফেরতসহ বিচার চেয়ে ইউএনও’র লিখিত অভিযোগ ও থানায় মামলা করেছে।
মামলা ও অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চৈত্রকোল ইউপির খাসতালুক গ্রামের মফিজ উদ্দিন মন্ডলের সি.এস (৪০) এবং এস.এ (৬২) রেকর্ডীয় মালিকানাধীন খাসতালুক মৌজার ৩২ শতক জমি তার কন্যা রেজিয়া খাতুনের নামে বিগত ১৯৭৯ সালে ৪৪৯ নং দলিলমূলে লিখে দেন। রেজিয়া তখন থেকেই ওই জমি ভোগ দখলের পর বিগত ২০১২ সালে তার ছেলে রাশেদুল ইসলামের নামে ৮৫৪৯ নং দলিলমুলে জমিটি হেবা দলিল করে দেন। বিগত ২০১৩ সালে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে জমিটি রাশেদুলের নামে নামজারী (খারিজ) করা হয়। নামজারী কেস নং ১৬৯১/১২-১৩, হোল্ডিং নং ৬৪০, ডিসিআর-৭২৮৮/১৪।
অপরদিকে ইউনিয়নটির একই গ্রামের বাদশা মিয়া ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার নুরে আলমের সাথে আঁতাত করে কাগজপত্র সৃজন করে রাশেদুলের উলে¬খিত ৩২ শতাংশ জমি বাদশার নামে খারিজ করে নেয়। যার কেস নং ১৯৫/১৬-১৭। বাদশা ওই খারিজ পেয়ে গত ৯ ফেব্র“য়ারী প্রকাশ্যে দিবালোকে বাদশা তার লোকজন দিয়ে রাশেদুলের রোপিত ইরি-বোরো ধানের চারা একাধিকবার নষ্ট করে। এ ঘটনায় বাদশাসহ ৮ জনকে আসামী করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা হয়। রাশেদুল জানায়, আমার বৈধ মালিকানার জমিটি সৃজিত কাগজপত্র দিয়ে ভেন্ডাবাড়ীর তহশীলদার নুরে আলম অন্যব্যক্তির (বাদশার নামে) নামে খারিজ করে দিয়ে আমার পরিবারকে সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাদশা জানায়, আমার নামে দলিল ও খারিজ থাকায় জমিটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছি। ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী তহশিলদার নুরে আলম বলেন, আমি জমির কাগজ দেখে খারিজের প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। যদি ভুল হয়, তাহলে খারিজ বাতিলের কেস দিলে নিষ্পত্তি হবে। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উলে¬খ্য, ওই তহশিলদার নুরে আলমের বিরুদ্ধে সংশি¬ষ্ট এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের সাথে গোপন আঁতাতসহ ভুমি সংক্রান্ত ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।