নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে অভিযোগ সেবাগ্রহিতাদের

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১২ ফেব্রুয়ারি॥
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের সেবাগ্রহিতাদের মুখোমুখি হয়েছেন সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মণ। আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতাল চত্ত্বরে টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সেবাগ্রহিতারা হাসপাতালের আবাসন, চিকিৎসক সংকট, ওয়ার্ডে দূর্গন্ধ, কুকুর বেড়ালের অবাধ বিচরণ, বাথরুমে পানি না থাকা, কর্তব্যরতদের কর্কষ আচরণসহ বিভিন্ন সমস্যার তুলে ধরেন।
সেবাগ্রহিতা জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের সুফিয়া খাতুন (৪০) বলেন, হাসপাতালের বাথরুম সবসময় অপরিস্কার, পানি থাকে না, বিভিন্ন ওয়ার্ডে দূর্গন্ধ, ওয়ার্ডে কুকুর বেড়ালের অবাধ বিচরণে আতঙ্কে থাকে রোগী।
নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মামুন অর রশিদ বলেন, হাসপাতালে হেল্প ডেক্স আছে, কিন্তু সেখানে কোন লোক নেই। ফলে তথ্যের জন্য সেবাগ্রহিতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কচুকাটা ইউনিয়নের ফজিলা বেগম (৫০) বলেন, মুই গরীব মানুষি, কানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালোত আসিছিনু, মোক রংপুর যাওয়ার কইছে। রংপুর যাইতে মেল্লা টাকা লাগে। মোর মতন গরীব মানষির কী এইঠে চিকিৎসা হোবে না? 
সদরের দাড়োয়ানী গ্রামের রাশেদুর রহমান বলেন, হাসপাতালের লোকজন (ডাক্তার, নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়) রোগী এবং স্বজনদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেন না। আমার স্ত্রীর ডেলিভারীর সময় আমার এবং স্বজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে (নার্স এবং ডাক্তার) সে সময়ে ডেলিভারীর কাজ করায় বাচ্চা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, ওই আঘাতের কারণে আমার বচ্চা এখন প্রতিবন্ধী।

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মণ এসব সমস্যা শুনেন এবং সামর্থ অনুযায়ী সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। তবে জনবল এবং অবকাঠামোর কথা স্বীকার করে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কার্ডিওলোজি বিভাগসহ অনেক বিভাগ জনবল সংকটে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাথরুমে পানি ব্যবহার করে কল ছেড়ে রাখেন রোগি এবং স্বজনরা, কল ভেঙ্গেও ফেলেন। একারণে পানি পড়ে গিয়ে সংকট দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সেবাগ্রহিতাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অবকাঠামো সমস্যায় তিনি বলেন, বর্তমানে ১০০ শয্যার অবকাঠামো রয়েছে, ক্যাম্পাসে ২৫০ শয্যার অবকাঠামো নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। সেটি হলে রোগীর আবাসন সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী এস.এম সফিকুল আলম ডাবলুর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা, মুজিবুল হাসান, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসাদ আলম, সনাকের সহসভাপতি আকতারুল আলম, আসমা আহসান, সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক নাসিমা বেগম প্রমুখ।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 2636755081359315518

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item