পাগলাপীরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২টি পরিবার সর্বশান্ত

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পাগলাপীর হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কিশামত হরকলি গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটনায় ১২টি পরিবার সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে চরম আত্বমানবতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। শুক্রবার রাত্রি সাড়ে ৯টায় ভয়াবহ অগ্œিকান্ড ঘটনাটি ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্তরা হচ্ছেন মোঃ আরিফুল হক, আশরাফুল ইসলাম পিতাঃ মৃত- আঃ আজিত, লিখন মিয়া পিতাঃ আরিফুল হক, নুর আমিন, ছামছুল, আনারুল, ফুলবাবু, সকলের পিতাঃ মৃত- গোফরান, মোতারুল, জায়েদুল, খাদেমুল সকলের পিতাঃ মৃত- ছোবহান ও প্রতিবন্ধী দিলজাহান পিতাঃ মৃত- গোফরান। এদের সকলের টিনের ঘর-বাড়ির চালা গরু-বাছুর হাঁস মুরগি ধান চাল ঘরের আসবাবপত্র সহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিকান্ড ঘটনায় ১২টি পরিবার প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি শিকার হয়েছে। সব চেয়ে ক্ষতি শিকার হয়েছেন মোঃ আনারুল হক, নুর আমিন, লিখন ও আরিফুল। প্রত্যক্ষদর্শী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাঃ রহিমা বেগম, সাংবাদিককে জানান মৃত গোফরানের প্রতিবন্ধী কন্যা দিলজাহানের টিনের চালার ঘরে চুলার মধ্যে রাখা গবরের শলার থেকে আগুন বের হয়ে তার ঘরের মধ্যে রাখা ধানের খড়ের মধ্যে লেগে যায়। এরপর সে আগুন আস্তে আস্তে আরিফুল, লিখন, আনারুল সহ ১২টি পরিবারের ঘর বাড়ি সহায় সম্বল পুড়ে ছাই হয়। গ্রামের মোঃ রায়হান ইসলাম সাগর, নুর আলম ইসলাম, ফুলবাবু সহ ক্ষতিগ্রস্তরা সাংবাদিককে অভিযোগ করে বলেন অগ্নিপাতের ব্যাপক ক্ষতির জন্য সম্পূর্ণভাবে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ প্রতিবন্ধী দিলজাহানের টিনের চালায় যখন আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তখন তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার জন্য রংপুর পবিস-২ এর অভিযোগ কেন্দ্রে মোবাইল করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের গাফলাতির কারনে একটার একটার পর মিটার বাষ্ট হয়ে প্রতি মিটারের ঘরে ঘরে আগুন জ্বলে ওঠে অগ্নিপাত ভয়ংকর রুপ ধারন করলে, গ্রামবাসীরা প্রাণভয়ে আগুন কাজের নেভানোর কাজে এর ধারে আসতে না পারায় আগুন অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি শিকার হয়। পরে তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকান্ডের শেষ প্রান্তে এসে আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন করেন। অপরদিকে অগ্নিকান্ড ঘটনার পর ঘটনাস্থলে প্রথমে আসেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি  সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা বেগম, পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন এরপর রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ও রংপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামানিক, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা পলাশ চন্দ্র রায় সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের শান্তনা দেন এবং প্রত্যেকে দুটি করে কম্বল ও রাত্রে তাদের মাঝে খাবার বিতরন করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1274160266667651425

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item