সৈয়দপুরে ভাওয়াইয়া শিল্পী মহেশ চন্দ্রের ২৫তম মৃত্যূবার্ষিকী পালনে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

ভাওয়াইয়া গানের কিংবদন্তি প্রয়াত মহেশ চন্দ্র রায়ের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন মহেশ চন্দ্র একাডেমির সহসভাপতি ও সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আমিনুল হক।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন,মহেদ চন্দ্র একাডেমির উপদেষ্টা নীলফামারী জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট তুষার কান্তি রায়, দি সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বাঙালী, সময় টিভি’র নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি সাকির হোসেন বাদল, সংগীত শিল্পী শেখ রোবায়েতুর রহমান রোবায়েত ও বিনয় কুমার রাজবংশী,সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এম ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন লুতু, দপ্তর সম্পাদক গোপাল চন্দ্র রায়, উন্নয়ন কর্মী প্রতাপ সরকার বিজয়, শিল্পীর নাতি উত্তম কুমার রায় ও কৃষ্ণ কমল রায়।
এর আগে সভার শুরুতেই মহেশ চন্দ্র একাডেমির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান  প্রয়াত জাওয়াদুল হক সরকারের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
শিল্পীর নাতি হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক রঞ্জন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় সভায় শহরের বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিল্পীর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শিশুদের চিত্রাংকন, রচনা ও গানের প্রতিযোগিতা, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা ও ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ভাওয়াইয়া গানের গীতিকার,সুরকার ও সংগীত শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামে রাজবংশীয় ক্ষত্রিয় পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।পরবর্তীতে নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের দিঘলডাঙ্গী গ্রামে শ্বশুরালয়ে ঘরজামাতা হিসেবে ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ২৯ জানুয়ারি বাধ্যকজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত মহেশ চন্দ্র রায় রচিত “ধীরে বোলাও গাড়ী” (প্রথম খন্ড) নামে একটি গানের বই নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ পায়। ২০০৩ সালে জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি থেকে “মহেশ চন্দ্র রায়ের গান” নামে আরো দু’টি গানের বই প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিষয়ে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় শিল্পীর গান ও জীবনী।             

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1517789587992839997

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item