আ.লীগ সরকার মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছে। কোনো মানুষ অসুবিধায় থাকুক তা আমি চাই না। এ প্রকল্পে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। এ ছাড়া যাদের জমি ব্যবহার হবে তাদের দ্বিগুণ মূল্যে দেয়া হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভরন গণববনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নোয়াখালী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘হোয়াংহো আর চীনের দুঃখ নাই। আমি চাই নোয়াখালী খালও আর নোয়াখালীর দুঃখ হয়ে থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আসবে। কৃষির আমূল পরিবর্তন হবে। ১৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হবে। ১৬ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হবে। এ ছাড়া এই এলাকায় লবণাক্ত সহিষ্ণু ধান উৎপাদন হবে।

তিনি বলেন, নেয়াখালী অনেক পুরনো জেলা হলেও সব সময় ‘একটু অবহেলিত’ থেকে গেছে। উপকূলের কাছাকাছি বলে প্রকিৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে এ জেলার মানুষকে বাঁচতে হয়। এ কারণে তারা কষ্টসহিষ্ণু। যখনই আমি নোয়াখালী গিয়েছি, তখনই আমি শুনেছি নোয়াখালী খালের কথা। এই খালটা কেটে দিলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, আমরা খালটা করে দেব।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নোয়াখালী খাল পুনঃখননে সমীক্ষা শুরু হলেও পরের মেয়াদে ক্ষমতায় আসা বিএনপি-জামায়াত সরকার যে তা আর এগিয়ে নেয়নি, সে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার আশা করছে, নোয়াখালীর খাল পুনঃখনন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।

এ প্রকল্প ভূমি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন।

৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে নোয়াখালী খাল এবং জেলার ২৩টি খালের পুনঃখনন করা হবে। সেই সঙ্গে ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।

নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জোয়ারের পানিবাহিত পলি ও লবনাক্ত পানির প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নতুন পানিসম্পদমন্ত্রী  আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। স্বাগত বক্তব্য দেন সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 5811100573386979380

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item