বই উৎসবের জন্য প্রস্তুত নীলফামারী

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৩১ ডিসেম্বর॥
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনেই ঝকঝকে নতুন বই পাচ্ছে নীলফামারী জেলার শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

আগামীকাল সোমবার (১ জানুয়ারী/২০১৮ইং) প্রাথমিক পর্যায়ে নীলফামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে বই তুলে দেয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলার ছয় উপজেলার ২৫৮১টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬ জন। এদের মধ্যে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৯ জন এবং প্রাক প্রাথমিকে রয়েছে ৬০ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী।

১ম থেকে ৫ম পর্যন্ত চাহিদার ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৮ টি বইয়ের মধ্যে শতভাগ আসলেও প্রাক প্রাথমিকে চাহিদার ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭৪ টি বইয়ের মধ্যে পৌঁছেছে ৬০ হাজার ৬৮৭টি বই।

সদর উপজেলার দুবাছুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, বিদ্যালয়ের চাহিদার ১৯০জন শিক্ষার্থীর জন্য বই পাওয়া গেছে ইতোমধ্যে। আর প্রাক প্রাথমিকে ২৫জনের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। তবে এখোনো পৌঁছায়নি ওইসব বই। নির্ধারীত সময়ের মধ্যে সেগুলো আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ও কচুকাটা ইউনিয়ন ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, আমার ক্লাস্টারের মধ্যে ২৮টি বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছানো হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের বইগুলোও দ্রুত পৌঁছানো হবে বিদ্যালয়গুলোতে।

উৎসব মুখর পরিবেশে নীলফামারী জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে দেয়া হবে মন্তব্য করে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমেশ চন্দ্র মজুমদার কোন শিক্ষার্থী নতুন বই পাওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়বে না।

প্রতিটি বিদ্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বই তুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে মাধ্যমিক পর্যায়েও বছরের প্রথম দিনে বই তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মঙ্গলবার পর্যন্ত শতকরা ৯০ভাগ বই বিতরণ করা হলেও শতভাগ বই বিতরণ করা হয়েছে ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে চাহিদার ২৪লাখ ৮৭হাজার ৪৫০টি বইয়ের মধ্যে পৌঁছেছে ২২লাখ ৩০হাজার ১২০টি বই। দাখিলে চাহিদার ৫লাখ ৪৯হাজার ৩শ টির মধ্যে পাওয়া গেছে ৪লাখ ৭৫হাজার টি বই। যা ইতোমধ্যে শতকরা ৮৬টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ইবতেদায়ী পর্যায়ে চাহিদার ২লাখ ৫৪হাজার ৬টি বইয়ের মধ্যে সবই পাওয়া গেছে এবারে। সেগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোয় পৌঁছানো হয়েছে ইতোমধ্যে। এছাড়াও চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করেছে।

নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার রায় বাদল ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগের কয়েকটি বই যথাসময়ে না পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, এবার আশাকরি তেমনটা হবে না। তারপরও নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছসিত হবে।

কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল হোসেন জানান, আমার বিদ্যালয়ে ৭০ভাগ বই এসে পৌঁছেছে। তবে নবম শ্রেণীর বই এখন পর্যন্ত তুলনামুলক ভাবে কম এসেছে। যথাসময়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বই উৎসবের দিনে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে প্রাপ্ত সকল বই বিদ্যালয়গুলোয় পৌঁছানো হয়েছে।১লা জানুয়ারি নতুন উদ্যামে শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এখনো যে পরিমান বই এসে পৌঁছায়নি সেগুলো উৎসবের আগেই এসে পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনালে চাহিদার ৫৪হাজার ৩৬০টির মধ্যে ২৩হাজার ৮০৫টি, দাখিল ভোকেশনালে ৫৪৭০টির মধ্যে ১৭৫০টি এবং কারিগরি ট্রেডে ৩৯হাজার ৩৮০টির মধ্যে ১৫হাজার বই পেয়েছে দফতরটি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3135124961188109308

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item