পীরগাছায় ২ সড়কে মরা গাছে মরণ ফাঁদ!

ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর)

জন্ম হয়েছিল রাস্তার ধারে। এক সময় আদর-যতœ, মায়া-মমতায় ভরা ছিল শিশুকাল। যেই না শিশুকাল পেরিয়ে উঠলো, মায়া-মমতা সব শেষ। বাড়লো অবহেলা আর অনাদর। তারপর যৌবনের সব সময় টুকু জন্ম স্থানেই কাটিয়ে ধীরে ধীরে ওখানেই মরে যাচ্ছে। এই গল্পটি কোন মানুষের নয়, জীব বৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী কিছু বৃক্ষের। যারা বছরের পর বছর ধরে রোদে শুকিয়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তার ধারেই মৃত্যুর প্রহর গুনছে। অথচ কোন কাজে আসছে না মানুষের। রংপুর-পীরগাছা ও পাওটানা সড়কের দুধারে বিশাল আকৃতির ১হাজার ৩ শতাধিক গাছ জন্ম স্থানেই মরে গেলেও যেন দেখার কেউ নেই। ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  পীরগাছার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি সড়কের দু’ধারে বিশাল আকৃতির গাছগুলো মরে গিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দাড়িয়ে আছে এবং ওই সড়কে চলাচলকারী জন সাধারনের জন্য মরণ ফাঁদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলায় প্রবেশের একমাত্র রংপুর-পীরগাছা আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমতলী বাজার থেকে পীরগাছা উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের দুই ধারে বিশাল আকৃতির ৪ শতাধিক এবং মাহিগঞ্জ আমতলী থেকে পাওটানা সড়কের দুধারে ৯ শতাধিক রেন্ট্রি কড়াইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গাছগুলো ইতিমধ্যে মরে ডালপালা শুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে। মরা গাছগুলো থেকে প্রতিদিন গভীর রাতে এলাকার কিছু গাছ খেকো মানুষ মরে যাওয়া ডালপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মরা গাছগুলো বৃষ্টির পানি পেয়ে ফুরফুরে হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে এ পথে চলাচলকারী  ভ্যান, সাইকেলে ও পথচারীরা ওই সব গাছের ডালপালা আকষ্মিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে প্রায়ই গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই দু’টি সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মিনি বাস, ঢাকা কোচ, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। ফলে যে কোন সময় মরা গাছগুলো ভেঙ্গে পড়ে চলাচলকারী মানুষের প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকেই । রাস্তার ধারের এসব গাছ বিক্রি করলে সরকারী কোষাগারে জমা হতো লাখ লাখ টাকা। অথচ কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাস্তার ধারেই মরে যাচ্ছে এসব গাছ। উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার কীটনাশক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম ও টিন ব্যবসায়ী মিনহাজুল ইসলাম মিলন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলতে ভয় লাগে, কখন যে মাথার উপর মরা গাছ ভেঙ্গে পড়ে বলা তো যায় না। সরকার গাছগুলো বিক্রি না করে মানুষের মৃত্যু ঝুকি বাড়িয়ে দিয়েছে। কালিগঞ্জ এলাকার আব্দুল করিম মিয়া বলেন, ভাই সরকারও খাবে না, আমাদেরও দেবে না। যেখানের গাছ সেখানেই মরে যাবে।
এব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফছার আলী বলেন, জেলা পরিষদের সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের চরম অবহেলার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ গাছগুলো সরকারের কোন কাজে লাগছে না।
এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছগুলো আমি দেখে এসেছি। জেলা পরিষদের সড়ক অনেক। আমাদের লোকবল কম, তাই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে একটু দেরি হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2605277859673287136

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item