সড়ক খোড়াখুড়ির পর ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ঠিকাদার লাপাতা

বিশেস প্রতিনিধি ৮ নবেম্বর॥
পাকা সড়ক নির্মানে দরপত্রে কাজ পেয়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়ক খোড়াখুড়িও করা হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে  ডাব্লিউ বি এম ও বাকি দুই কিলোমিটার সড়ক বক্স কাটিং করার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে লাপাতা হবার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই সড়কে কাঁদা পানির সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে শিকার হচ্ছে পথচারীরা। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া জিসি টু চেন এস ১৫৫০ থেকে ৪৫৫০ পর্যন্ত সড়কটির। 
অভিযোগে জানা যায়, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) দপ্তর মাগুড়া জিসি টু হইতে কিশোরীগঞ্জÑতারাগঞ্জ সড়ক ও জনপথ রোড বাহাগিলি ষ্টীল ব্রীজের বংকীমের বাড়ির নিকট সড়ক হতে চেন এস ১৫৫০ থেকে ৪৫৫০ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মানে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ২শ ১৯ টাকার দরপত্র আহবান করে। এতে কাজটি পায় নীলফামারীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মহসেনা এন্টার প্রাইজ। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল সড়কটির নির্মানে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। শর্তানুযায়ী  ২০১৭ সালের ৫এপ্রিল সড়কটির নির্মান কাজ শেষ করতে হবে। শর্ত মোতাবেক  ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি তিন কিলোমিটার সড়ক খোড়াখুড়ি শেষ করে এবং এক কিলোমিটার অংশে ডাব্লিউ বি এম করে ও বাকি দুই কিলোমিটার অংশে বক্য্র কাটিং করে রাখে। সেখানে কোন বালু পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। কাজ শুরুর দুই মাসের মধ্যে ওই টাকা উত্তোলনের পর কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি লাপাতা হয়ে যায়।
চলতি টানা বর্ষনে সড়কটি  ডুবে যাওয়ায় এলাকাবাসী কলার ভেলা বানিয়ে চলাচল করে। সড়কটি  খোড়াখুড়ির এক বছর পেরিয়ে গেলে বর্তমানে সড়কটিতে হাঁটু কোমর কাঁদা জমে থাকায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আজ বুধবার (৮ নবেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কটির বেহালদশা। খানাখন্দের কারনে বৃষ্টির পানি জমে সড়কটির বেহাল অবস্থা হয়েছে। সড়কটিতে গাড়ী চলাচলতো দুরের কথা হেঁটে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এলাকার কলেজ ছাত্রী ইছমত আরা বলেন, আগে রাস্তা কাঁচা থাকলেও মাগুড়া বাসষ্ঠান থেকে ভ্যান যোগে বাড়িতে আসতে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হত। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা হেঁটেও চলাচল করা যায়না।
স্থানীয় বাসিন্দা মকছুদার রহমান বলেন, আর কয়েকদিনের মধ্যে  আমন ধান কাঁটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। আমরা জমি থেকে ধান কিভাবে বাড়িতে নিয়ে আসব সেই চিন্তায় বাঁচিনা।
 মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, ওই সড়ক দিয়ে জনসাধারন চলাচল করতে পারছে না।  আমি উপজেলা পরিষদের মাসিক  সমন্বয় সভায় সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে অনেকবার বলেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে মহসেনা এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটার মাহবুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, এবার বন্যার কারনে সঠিকভাবে কাজ শুরু করতে পারিনি। সড়কটির মুল কাজ করতে গেলে প্রচুর ইটের প্রয়োজন। কিন্তু কোন  ইট পাওয়া যাচ্ছেনা। আগামী এক মাসের মধ্যে ইট পাওয়া যাবে। ইট পাওয়া সড়কটির কাজ শুরু করবো। কাজের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নু বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

এক ঝলক 5064639103901193250

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item