রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা ইসির কাজ নয়: সিইসি


রাজনৈতিক দলের মধ্যে মধ্যস্থতা করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংলাপে অংশগ্রহণকালে সিইসি বলেন, আমাদের কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই। ইসি একটি স্বাধীন সত্তা। আমরা শপথ নিয়েছি, কারও চাপে নতি স্বীকার করবো না। কারও কাছে যাবো না। এটাই যথেষ্ট।

তিনি বলেন, তাছাড়া আমাদের এখানে আন্তর্জাতিক অনেক মিডিওকার এসেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করাতে পারেননি। তাই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা আমরা নিতে চাই না, এটা আমাদের কাজও নয়।

এক প্রশ্নে সিইসি বলেন, ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে কি না- সে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। কেউ চাইল, বা না চাইল- তার ওপর নির্ভর করে কিছু হবে না। পরিবেশ পরিস্থিতিতে যদি প্রয়োজন মনে করি, সবই আসবে। দরকার মনে না করলে সেনাবাহিনী আসবে না। এটা সম্পূর্ণভাবে ইসির ওপর ছেড়ে দিতে হবে।

সিইসি বলেন, “নির্বাচনের সময় কী ধরনের সরকার থাকবে- সে ব্যাপারে কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। ইসি একটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান। সরকার যে নির্বাচন পদ্ধতি সেট করে দেয় সেভাবেই নির্বাচন আমাদের করতে হয়। এক সময় ছিল ‘ইয়েস-নো’ ভোট। সেই সময়কার কমিশনই সেভাবেই ভোট করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে পদ্ধতি ছিল, তারা সেটা করেছে। কাজেই সব কিছু নির্ভর করে সরকার কোন ধরনের পরিবেশ সেট করে দেয় তার উপর।”

সিইসি বলেন, এখন যে অবস্থা আছে তা যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হলে আমরা তাই করব। আর যদি সরকার পরিবর্তন করে তাহলে সেভাবে হবে। কাজেই নির্বাচনের সময় কোন ধরনের সরকার থাকবে সে ব্যাপারে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়। আমরা তা পারিও না।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আর্মি (সেনাবাহিনী) থাকবে কি থাকবে না- এটা ইসির সিদ্ধান্ত। যদি পরিস্থিতির বিবেচনায় মনে করি দরকার আছে, তবে থাকবে।

বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের অনুকূল রয়েছে দাবি করে নূরুল হুদা বলেন, বর্তমানে আমরা অনুকূল ও আস্থাশীল অবস্থানে রয়েছি। কেউ আমাদের ডিস্টার্ব (বিরক্ত) করেনি। কমিশনে কেউ তার দাবি-দাওয়া নিয়ে আসেনি। আমরা এখনও পর্যন্ত আস্থাশীল আছি এবং থাকব।

তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে অনেক সমস্যা ও জটিলতা রয়েছে। অন্যদেশের তুলনায় এই সমস্যা আমাদের আরও বেশি। কারণ, গণতান্ত্রিক লঙ্গিজিবিটি (স্থায়িত্ব) আমাদের কম আছে। কখনও হ্যাঁ-না ভোট, কখনও নির্বাচনী সরকারের অধীনে নির্বাচন, এক ব্যক্তির অধীনে নির্বাচন- এই অবস্থায় চলেছি। একটানা তিনটি নির্বাচন একটি নিয়মে আমরা করতে পারিনি। কাজেই সমস্যা তো আমাদের রয়েছেই।

এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশন ভবন মিলনায়তনে কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সংলাপে অংশ নেন। এতে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের ২৬ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকের পর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে ইসি। ওই দিন সকালে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। তারপর বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) সঙ্গে বসবে ইসি।

পরে ২৮ আগস্ট কেলা ১১টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আর বিকেল ৩টায় খেলাফত মজলিশের সঙ্গে বসবে ইসি। ৩০ আগস্ট বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আর বিকেল ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সঙ্গে বসবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1862834080436432335

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item