ঠাকুরগাঁওয়ে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2017/07/thakurgaon_6.html
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁ প্রতিনিধি।
ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান
খুনের ঘটনার ২০ দিন পরে আরেক আসামি যুবলীগ নেতা মারুফ আলী শান্তকে গ্রেফতার
করেছে পুলিশ। অপরদিকে শান্তর পরিবারের দাবি, শান্ত আজ সোমবার সকালে নিজে
ঠাকুরগাঁও থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও
পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মান্নান হত্যার আসামি
শান্তকে সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত
আসামি শান্ত’র বোন বৃষ্টি দাবি করে বলেন, শান্ত আজ সকাল ৭টায় আত্মসমর্পণের
আগে আমার ফোনে কয়েকবার কল দিয়েছিল। তখন আমি স্কুলে ছিলাম তাই ফোন রিসিভ
করতে পারিনি। কিছুক্ষণ পরে আমার স্বামী আমাকে জানায়, ভাইয়া নাকি আত্মসর্পণ
করেছে। পরে থানায় এসে শুনি পুলিশ নাকি ভাইয়াকে ভোর বেলা নীলফামারী জেলা
থেকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্ত
আসামি শান্ত’র চাচা শ্বশুর সাবুল আত্মসমর্পণের দাবি করে বলেন, শান্তর
বক্তব্য হলো- পুলিশ আমার বোন ও তার স্বামীসহ ৩ জনকে আটক করেছে। আমার জন্য
তারা কেন শাস্থি পাবে। আমার তো বাইরে থেকে লাভ নেই, আমি পুলিশের কাছে
আত্মসমর্পণ করবো। তখন আমি ও শান্ত বোদা থেকে রাণীগঞ্জ হয়ে অটোযোগে
ঠাকুরগাঁও জর্জ কোর্টের বারান্দায় আসি। তখন ৭টা ৩১ মিনিট। আমি জর্জ কোর্ট
চত্বরে ছিলাম। আর শান্ত থানায় আত্মসমর্পণের জন্য চলে গেলেন। পরে আমি ও তার
পরিবারের সদস্য জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, শান্তকে নাকি নীলফামারী জেলা থেকে
ভোর বেলা গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান জানান, শান্ত’র
পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের সঙ্গে
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের বিরোধ ছিল।
এর জের ধরে গত ১১ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের মুন্সিরহাট
এলাকায় আব্দুল মান্নানকে ছুরিকাঘাত করেন সজীব দত্ত ও শান্ত। পরে মান্নানকে
উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ
ঘটনায় মান্নানের বড় ভাই আবু আলী বাদী হয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক সজিব দত্ত ও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ
সম্পাদক শান্তর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের
করেন।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের
দায়ে আসামি সজিব দত্ত, তার ভাই পিন্টু দত্ত, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক
দেবাশীষ দত্ত সমীর, আসামি শান্ত’র ভাই রতনকে এর আগে গ্রেফতার করেছে।
বর্তমানে তারা ঠাকুরগাঁও জেল হাজতে রয়েছেন।