পীরগঞ্জ আ’লীগে অনুপ্রবেশ বিএনপি নেতা এখন আ’লীগের সম্পাদক প্রার্থী!

মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধি-   

আব্দুল মান্নান মন্ডল। ছিলেন বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি। এখন তিনি আ’লীগের ডাক সাইটে নেতা। তিনি আ’লীগের ইউনিয়ন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যও জানান দিয়েছেন। চলমান আ’লীগের ওয়ার্ড কাউন্সিলে তার নিয়মিত উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আ’লীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ওই সভাপতি টুকুরিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা আতাউর রহমান মন্ডলের আপন ছোট ভাই। সম্প্রতি তিনি তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের সহায়তায় এবং ইউপি আ’লীগের সভাপতির বদৌলতে আ’লীগের সদস্য পদ পেয়েছেন। কিন্তু বিএনপি থেকে এখনো তিনি পদত্যাগ করেননি। এভাবেই আ’লীগে উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত-শিবির, জাতীয় পার্টির অনুপ্রবেশ ঘটছে।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নের ১৩৫টি ওয়ার্ডে আ’লীগের কাউন্সিল চলছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে দলে সদস্য পদ প্রদান, তাদেরকেই ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদক মনোনীত করায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিল। এ কারণে টুকুরিয়া ইউনিয়নের এক মুক্তিযোদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। টুকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মন্ডল। তার বড় ভাই ওই ইউপি’র চেয়ারম্যান এবং আ’লীগ নেতা আতাউর রহমান মন্ডল। ইউনিয়নটির আ’লীগ সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়াকে ম্যানেজ করে বিএনপি’র ওই সভাপতি আ’লীগের সদস্য ফরম নিয়েছেন। এখন তিনিই ইউনিয়ন আ’লীগের সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রচারনা শুরু করেছেন। অথচ তিনি এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আব্দুল মান্নান আমাদের টুকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আছেন। এখন তিনি কোন কার্যক্রম করছেন না। শুনেছি এখন আওয়ামীলীগ করছেন। তবে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেননি। তার মতো অনেকেই বিএনপি থেকে আ’লীগের গেছে। আব্দুল মান্নান বলেন, যেকোন দলের দরজা সব সময়ই খোলা। যে কেউ আসতে পারে, যেতেও পারে। এতে কোন বাঁধা নেই। তার অনুপ্রবেশের কারণে ত্যাগী নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি আ’লীগে কারো না পোষায়, তবে সে দল থেকে চলে যেতে পারে বলে তিনি দম্ভোক্তি করেন। টুকুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের কয়েকজন নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কোন ফল পাইনি। উল্টো আমাদেরকেই দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলে সম্পাদক পদে শিবিরের নেতা আবু নোমান ওরফে শাহজাহান মিয়া কে ঘরোয়া কমিটির মাধ্যমে সম্পাদক করা হলে ওয়ার্ডটির আ’লীগ নেতাকর্মীরা জেলা ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, শাহজাহান শিবিরের একজন সক্রিয় সদস্য। আমরা ঘরোয়া কমিটি মানি না। নেতাকর্মীদের মাঝে ভোটের ব্যবস্থা করে কমিটি গঠন করা হোক। মদনখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির এক নেতা খেতাবেরপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বাবু মিয়াকে আ’লীগের সদস্য করায় ক্ষোভে ফুসে উঠে নেতাকর্মীরা। ফলে স্থগিত হয়ে যায় ওয়ার্ডটির কাউন্সিল। ওই ইউপির আ’লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, আমরা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করি। আর তারাই আ’লীগের সদস্য হচ্ছে। এভাবে চললে আ’লীগের সমুহ ক্ষতি হবে। উপজেলার অন্যান্য ওয়ার্ডেও কমবেশী এমন অভিযোগ রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে ঘরোয়া কমিটিও করার অভিযোগ রয়েছ্ েএ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক ওপীরগঞ্জ পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম বলেন, যদি এমন অভিযোগ প্রমানিত হয়, তবে সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে দলে শৃংখলা ফিরিয়ে আনবো।

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 4202555412089579167

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item