কিশোরগঞ্জে চারালকাটা নদীতে নবনির্মিত বাঁধের সিসি ব্লক ধ্বসে পড়ছে। নির্মানকাজে অনিয়মের অভিযোগ


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি॥
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি চাড়ালকাটা নদীর বামতীর প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মানে  অনিয়মের কারনে নবনির্মিত বাধটির সিসিব্লক ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে। 
অভিযোগে জানা গেছে, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে  নদীর বাম তীরের ৮০০ মিটার দীর্ঘ এই বাঁধটি ২কোটি ৫০লাখ টাকায় নির্মান করা হয়। বাঁধ নির্মানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিল  রাকিব ব্রার্দাস। বুধবার সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায় বালি দিয়ে বাঁধটি করা হয়। এরপর বাধে  যে সিসি ব্লক প্লেজ করা হয় তা দায়সারাভাবে। ফলে গোটা বাঁধটির সিসিব্লক ধ্বসে যাচ্ছে। এতে বাধের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর বাধঁটির নির্মানকাজ শুরু করা হয়েছিল। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা বলছে বাঁধটির নির্মান কাজ  ২০১৬সালের ৩০জুন শেষ হবার কথা থাকলেও তা সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। সেই মাফিক কাজ শেষ হলে ঠিকাদারকে তার বিল পরিশোধ করা হয়। এলাকাবাসী জানায় চারালকাটা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে একটি ময়দানসহ কাচারীর হাট থেকে তারাগঞ্জ উপজেলায় যোগাযোগের পাকা রাস্তা। এসব ঠেকাতে ওই বাঁধ নির্মান করা হয়। এখন সেই বাঁধটি ভেঙ্গে পড়ছে। এলাকার মতিয়ার রহমান,একাব্বর আলী ও জামিনুর রহমানসহ অনেকে বলেন, নদীর ভাঙ্গন রোধ কল্পে ডালিয়া থেকে নূড়ি পাথর মিশ্রিত বালু দিয়ে সিসি ব্লক নির্মান করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চারালকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সিসি ব্লক নির্মান করেছে। এলাকাবাসী অনিয়মের মাধ্যমে বাঁধ নির্মানে তা ভেঙ্গে পড়ায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ও বাঁধটি নির্মানের তদারকি কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম নবনির্মিত বাধটি ভেঙ্গে পড়ার বিষয়ে কোন কথা বলতে অস্বীকার করে।



পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3538632793808765780

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item