ডোমারে তিন দিন ধরে নবজাতকের লাশ শালকি নদীতে ভাসছে
https://www.obolokon24.com/2017/07/domar_13.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ জুলাই॥
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় শালকি নদীতে এক নবজাতকের লাশ তিন দিন ধরে ভেসে চলেছে। বর্ষাকালে নদীর ¯্রােতে দ্রুতই স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষজন নবজাতকটি দেখে ভির জমাচ্ছে। এখন গোটা উপজেলায় নদীতে ভাসমান ওই নবজাতকের ভাসমান লাশ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেউ লাশ উদ্ধার করেনি। উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের চান্দিনা পাড়া শালকি নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী যুবক নাহিদ হোসেন (২৫) জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে শালকি নদীর ¯্রােতে একটি বাচ্চার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই। এরপর সেখানে অনেক মানুষ ভীর জমায়। ওই সময় একজন বলে উঠে গত সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে নদী সংলগ্ন সেভেন স্টার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে একটি মৃত বাচ্চা প্রসব হয়। হয়তো বা ওই বাচ্চাটিই হতে পারে। সেই সূত্র ধরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় ওই বাচ্চার ব্যপারে। ক্লিনিকের মালিক জানান, মৃত বাচ্চাটির লাশ আমরা তাদের পরিবারকে দিয়েছি। তারপর আমরা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বাচ্চাটির মায়ের কেবিনে গিয়ে দেখি শুধুমাত্র প্রসব হওয়া বাচ্চাটির মা বেডে শুয়ে আসে। তার পাশে পরিবারের কেই নেই। ওই মাকে বাচ্চা সম্পক্যে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার মৃত বাচ্চাটি সম্পক্যে কিছুই বলতে পারে নাই।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সারে ৭টায় সেভেন স্টার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক সেলিম রেজার কাছে এব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত সোমবার (১০ জুলাই) সকালে পাশ্ববর্তী দেবিগঞ্জ উপজেলার প্যারালবাড়ি এলাকার মমিনুল ইসলামের স্ত্রী মিনারা (৩০) প্রচন্ড প্রসব ব্যাথা নিয়ে আমার ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এরপর দুপুরে ডা. আইনুল ইসলাম তার সিজার করেন। এতে তার মৃত মেয়ে বাচ্চা প্রসব হয়। আমরা ওই বাচ্চাটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। তিনি বলেন, নদীতে ভাসমান ওই বাচ্চাটি ক্লিনিকে প্রসব হওয়া মৃত বাচ্চা কি না তা আমরা জানি না।
মিনারা বেগমের মামাতো ভাই দেবীগঞ্জ এলাকার আনোয়ার হোসেন জানান, ভুল করে আমার বোনের পরিবারের মহিলারা মৃত বাচ্চাটিকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে আমরা তা জানতে পারি। এটা ভুল হয়েছে।