ইফতারে উপকারী খেজুর
https://www.obolokon24.com/2017/06/lifestyle.html
লাইফস্টাইল ডেস্ক-
গরম আর লম্বা দিনে দীর্ঘ সময়ের সংযমের পর ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো।বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে ফলমূলে মনোযোগী হওয়া। তাই রমজানজুড়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ। আজ থাকছে এমন ফল, যা ছাড়া ইফতারের কথা চিন্তাই করা যায় না। জানুন খেজুরের স্বাস্থ্যগত গুণের কথা
পুষ্টির ভাণ্ডার
সারা দিন রোজার পর দেহে দরকার শক্তি। আর তা ভরপুর দিতে পারে খেজুর। এটা শক্তি, চিনি আর ফাইবারে চমৎকার এক উৎস। ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব মিটবে এই ফলে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর জিংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো খেজুরেই মেলে। থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, নিয়াসিন, ফোলেট—এ সবই পাচ্ছেন একই ফলে।
হাড়ের স্বাস্থ্য ও শক্তির জন্য
প্রচুর খনিজ উপাদানের কারণে খেজুরকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। এগুলো দেহের হাড় মজবুত করতে দারুণ সহায়ক। সেই সঙ্গে অস্টিওপরোসিসের মতো যন্ত্রণাদায়ক রোগের নিরাময়ে জাদু দেখাতে পারে এটি। হাড়ের গঠন ও এর শক্তি বৃদ্ধিতে জরুরি সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও ম্যাগনেসিয়ামের সরবরাহকারী খেজুর। বয়সের সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে থাকে। তাদের জন্য খেজুরই এক ওষুধ হয়ে ওঠে।
অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে
জানলে অবাক হবেন যে খেজুরে রয়েছে নিকোটিন। তবে এটা অন্ত্রের কয়েক ধরনের রোগ সারাতে বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে। খেজুরের নিকোটিন পেটে বেশ কয়েক ধরনের ‘প্যাথলজিক্যাল অর্গানিজম’ উৎপন্ন করে। আর তা উপকারী ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে অন্ত্রনালিতে। হজম নিয়ে যদি দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তখন ভক্ষণযোগ্য ফাইবারে সমাধান দেবে খেজুর। এর বেশ কয়েকটি উপকারী অ্যামাইনো এসিড খাবারকে সহজে হজম হতে সহায়তা করে।
রক্তস্বল্পতায়
খেজুরের বিভিন্ন ভিটামিন আর মিনারেল স্বাস্থ্যের দেখভালে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে এর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয়রন দেহে রক্তের অভাব পূরণ করতে সক্ষম। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাঁরা ইফতারে বেশি বেশি খেজুর খেতে থাকুন।
ওজন বৃদ্ধিতে
খেজুরকে স্থান দিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায়। চিনি, প্রোটিন আর অনেক দরকারি ভিটামিনের কারণে এ ফল দেহের ওজন বাড়াতে সক্ষম। তবে যাঁরা ওজন বাড়াতে চান না, তাঁরা খেজুরের সঙ্গে শসার যোগ ঘটান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকবে। এক কেজি খেজুরে ৩০০০ ক্যালরি পাবেন, যা প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রয়োজন পড়ে। যারা ছিপছিপে ও হালকা দেহের অধিকারী, তাঁরা ইফতারে কিংবা তার পরও নিয়মিতভাবে খেজুর খেলে উপকার পাবেন।
ডায়রিয়া নিরাময়ে
পাকা খেজুরে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে। এটা ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপাদান। খেজুর কিন্তু সহজেই হজম হয়। ক্রনিক ডায়রিয়া যাদের জীবনটাকে ভোগান্তিতে রেখেছে, তারা আস্থা রাখুন খেজুরে।