গাইবান্ধায় ৪ পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা: পুলিশ হেফাজতে কলেজ ছাত্র নিহত

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকেঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুলিশ হেফাজতে কলেজছাত্র রিপন চন্দ্র দাস (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার ৪ পুলিশ সদস্য ও ইউপি সদস্যসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা বাবলু চন্দ্র দাশ।
ঘটনার ১০ দিন পর রবিবার দুপুরে রিপন চন্দ্রের বাবা বাবলু চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (পলাশবাড়ি) মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের কোর্ট ইন্সেপেক্টর জামাল উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার আসামিরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহম্মেদ, পুলিশ কনস্টেবল শাহানুর আলম, মোস্তাফিজার রহমান, নার্গিস বেগম (বর্তমানে তাদেরকে কেøাজড করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে), ইউপি সদস্য মোন্তাজ উদ্দিন, সুরেশ চন্দ্র, তার মেয়ে চম্পা রানী, আলম মিয়া, অমল চন্দ্র ও রতন চন্দ্র। বিজ্ঞ বিচারক মোঃ  জয়নুল আবেদীন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই)কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী উল্লেখ করেন, সুন্দরগঞ্জের হাতিয়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দাসের ছেলে রিপনের সঙ্গে প্রতিবেশি সুরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে চম্পার প্রেম অতঃপর দু-জনে পালিয়ে গত ২৯  মে বগুড়ার কাহালুতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় চম্পার বাবা সুরেশ চন্দ্র বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেন। পরে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই রাজু আহমেদের নেতেৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোন্তাজ আলীসহ সঙ্গীয় পুলিশ গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে ১ জুন দুপুরে কাহালুর আত্মীয়ের বাসা থেকে চম্পাকে উদ্ধার ও রিপনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদেরকে মাইক্রোবাসে করে কাহালু থেকে সুন্দরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হচ্ছিলো। পথে পুলিশ ইউপি সদস্য মোন্তাজ উদ্দিনের পরোক্ষ সহযোগিতায় রিপনকে মাইক্রোবাসে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর পুলিশ ট্রাক চাপায় রিপনের মৃত্যুর বিষয়ে অপপ্রচার চালায়। পুলিশের দাবি, রিপন প্রসাব করার কথা বললে তাকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ এলাকায় মহাসড়কের উপর নামানো হয়। কিন্তু রিপন দৌড়ে পালাতে গিয়ে দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে থাক্কা লেগে পড়ে যায়। দ্রুত তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সুন্দওসঞ্জ থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান জানান এ ঘটনার পর সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাজু আহম্মেদ, পুলিশ কনস্টেবল শাহানুর আলম, মোস্তাফিজার রহমান, নার্গিস বেগমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যর একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 5983138416308486281

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item