তেঁতুলিয়ায় শীলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে শিশুসহ বিভিন্ন স্থানে আহত অন্তত ২০

ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা


মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ
তেঁতুলিয়ায় শীলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী  ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার বিকালে ঘন্টাব্যাপী শীলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী  ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি, গাছ, ধান, পাট, মরিচ, ভুট্টা ও তিল কাউন বাদামের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন স্থানে শিশুসহ ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, তেঁতুলিয়া ইউপির মাগুড়া গ্রামের রাবেয়া (৪৩), নুরজাহান (২৫), রণচন্ডি গ্রামের শাহিনুর (১৫), রেজাউল (২০), সাদ্দাম (২০), ১নং ইউপির হুলাসু জোত গ্রামের মরজিনা (২৪) হাপিজুল (৪০), ৪নং ইউপির লোহাকাচি গ্রামের সুমন (১০), ৫নং ইউপির কালদাস পাড়া গ্রামের রহিমা বেগম (৪৫), ৭নং ইউপির মাঝগ্রামের রেহেনা (২০) একই ইউপির ব্রম্মতোল গ্রামের সমারু (৫০) এর থাকার ঘরে গাছ পড়ে ধুমড়ে মোচড়ে গেলে সে আহত হয়। আহতদেরকে তেঁতুলিয়া সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গুরুত্বর আহত রেহেনা (২০) কে পঞ্চগড় সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদিকে সমারুর ঘরে গাছ পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তৎক্ষণাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সানিউল ফেরদৌস সমারুর বাড়িতে যান এবং এক বান্ডেল ডেউটিন প্রদান করেন। অপরদিকে শিলা বৃষ্টির কবলে পড়ে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: আলমঙ্গীর কবিরের প্রাইভেট কারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার কাচা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙ্গে  উপজেলার সর্বত্রই ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাশ, গাছ, কাঠ ও পিলারের খুঁটি দ্বারা বিদ্যুৎ সংযোগ ও ঝড়ো হওয়ায় গাছ ভেঙ্গে তার বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ২দিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তেঁতুলিয়ার সর্বত্রই।  বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী জানান, ঝড়েরর পর পরেই আমিসহ আমার লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজকের মধ্যেই ৭ এপ্রিল/১৭ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সানিউল ফেরদৌস জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকায় কত কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি তা নির্ণয় করা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা করা হবে । শালবাহান গ্রামের ৯০ বছর বয়সী মো: আলমাছ আলী জানান, আমার এ বয়সে আগে ২বার এরকম শিলা-বৃষ্টি দেখেছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতো দেখিনি। তিনি বলেন, কৃষকদের মাঠ ভড়া ফসল থাকায় এ ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গেছে।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 3586514768159484681

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item