ডাক্তার হতে চায় মেধাবী রহিমা কিন্তু গরীব বাবার নেই সাধ্য

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৯ মে॥
বাবা ভাড়ে করে হাওয়াই মিঠাই ও কটকটি বিক্রি করে গ্রামে গ্রামে। আর মা মানুষের জমিতে কামলা কিষানী খাটেন। খড়ের বাঁশ চাটাইয়ের ঘরেই পরিবারের ৫জনের বসবাস। যেখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলাই ভার, সেখানে আবার লেখাপড়াতো আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ারই মতো। তবুও অদম্য মেধা ও ইচ্ছা শক্তিকে পুঁজি করে দারিদ্র্যতার করাল গ্রাসে নিজেকে ভাসিয়ে না দিয়ে  অন্ধকার ঘরে কূপির আলো জ্বেলে লেখাপড়া চালিয়ে থেকে নীলফামারীর সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে দিনাজপুর বোর্ডের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে রহিমা খাতুন। তার রোল নম্বর ১৯২৭৮৩। সে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুটি গ্রামের আব্দুর রহমান ও শিল্পী বেগমের মেয়ে।
রহিমার বাড়িতে গেলে সে জানায় সে বড় হয়ে একজন এমবিবিএস ডাক্তার হতে চায়। গরীব অসহায় রোগীদের দিতে চায় বিনামূল্যে সেবা। দাঁড়াতে চায় নিজের পায়ে। দুই ভাই- এক বোনের মধ্যে রহিমাই সবার বড়। কুঁড়ে ঘরের ছাপড়া ঘরে বসবাস করে আর দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারের সন্তান হয়ে মেধাবী রহিমা কি পারবে তার ইচ্ছে পুরন করতে? এমন প্রশ্নে রহিমা বলে উপরে সৃষ্টিকর্তা আর আমাদের দেশে অনেক স্ব হৃদয়বান মানুষজন আছেন। তারা কেউ এগিয়ে এলেই আমি হয়তো আমার ইচ্ছেটাকে পূরন করতে পারতাম।
রহিমার ভাই শাহিনুর ইসলাম সেও একই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেনীর ছাত্র। আগামী বছর সেও এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। ছোট ভাই মইনুল ইসলাম সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র। এরা বড় বোন রহিমার মতোই মেধাবী। স্কুলে তাদের রোল নম্বর ২। 
প্রতিবেশীরা জানায়, ছোটবেলা থেকেই রহিমা অতি মেধাবী। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষাও সে জিপিএ-৫ অর্জন করেছিলো। সকলের দোয়া ও সহযোগিতা একদিন নিশ্চয়ই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। ঘুচাতে পারবে দারিদ্রতা। মুছিয়ে দিতে পারবে বাবা-মায়ের চোখের পানি।
রহিমার  মা  জানান, তার মেয়ে ও ছেলেরা  লেখাপড়ায় ভালো। এমনও রাত গেছে কূপি জ্বালানোর মতো কেরোসিন তেল নেই। রান্নার তেলে প্রদীপ জ্বেলে মেয়ে লেখাপড়া করেছে। সবার দোয়া আর সহযোগিতা পেলে মেয়েটির ইচ্ছে ডাক্তার হবার স্বপ্নটা পূরন হতো। অনেক বড় হবে।
রহিমার  বাবা  জানান, তার মেয়ের এই সাফল্য দেখে এলাকাবাসী স্কুলের শিক্ষকেরা অনেক খুশি হয়েছে। সবার দোয়া থাকলে তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে।
নীলফামারীর সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন জানান রহিমার কোন প্রাইভেট শিক্ষক ছিল না। স্কুলেই তাকে লিখাপড়ার বিষয়ে শিক্ষকরা গুরুত্ব দিয়ে সহযোগীতা করতো। যা ফলাফল সে আমাদের দিয়েছে। তবে গরীব ঘরের এই মেধাবী রহিমার লিখাপড়ার খরচ বহনে কেউ এগিয়ে এলে মেয়েটি বড় উপকৃত হতো।

মেধাবী রহিমার শিক্ষা জীবনে কেউ যদি সহযোগীতার হাত বাড়াতে চান তাহলে সরাসরি কথা বলতে পারেন ০১৭০৬-৮০৩৮২৬।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4700491098030564485

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item