ডোমারের সোনারায় ইউপির যুবলীগ নেতার কান্ড

বিশেষ প্রতিনিধি ১৪ মে॥
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মজিবুল ইসলাম কর্তৃক দলের কর্মী সহ এলাকার সাধারন মানুষজন পদে পদে নাজেহাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ক্ষমতার দাপট আর হুমকি ধমকি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
এমন একটি ঘটনায় গতকাল শনিবার (১৩ মে) রাতে ইউনিয়নের ফার্মের হাটে  ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মজিবুল ইসলাম ও তার বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েকজন লাঞ্চিত হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি সামলাতে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য বিমল চন্দ্র রায় (৫০) এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। কাকা বিমল চন্দ্রকে বাঁচাতে ছুটে গেলে ফার্মের হাটে দর্জি দোকানদার সুজন সরকারের দোকানে হামলা চালিয়ে ৭০ হাজার টাকার কাপড় সহ মালামাল লুটপাট ও দোকানের দরজা ভাংচুর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায় ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি উগ্র মেজাজের হওয়ায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের উপর যখন তখন হামলা করে থাকেন। এতে এবার নতুন কমিটি গঠনের ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্যরা  জিয়ন সরকারকে আগামীতে ইউনিয়নের সভাপতি তৈরী করবে বলে আলোচনা করে রাখে। এ খবর পেয়ে যায় বর্তমান সভাপতি মজিবুল ইসলাম। ঘটনার দিন গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মজিবুল ইসলাম ফার্মের হাটে এসে যুবলীগের সদস্য মোজাহার হোসেনের সঙ্গে উচ্চস্বরে গালিগালাজ দিতে থাকে। যার প্রতিবাদ করলে অপর যুবলীগ সদস্য জাহিনুর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে কিলঘুষি মারতে থাকে মজিবুল ইসলাম। যা দেখতে পেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি বিমল চন্দ্র রায় এগিয়ে গেলেও তাকেও কিলঘুষি মারা হয়। কাকার উপর এহেন অবস্থায় ছুটে যায় ভাতিজা সুজন চন্দ্র রায়। এক পর্যায় সুজনকেও মারধর করে তার দর্জির দোকানে হামলা করে তারা। সুজনের অভিযোগ হামলায় তার দোকানের ৭০ হাজার মূল্যের কাপড় ও মেশিনপত্র নস্ট করে লুটপাট করা হয়। এ ছাড়া দোকানের দরজা ভাংচুর করে তারা।
সোনারায় ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বলেন ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা কোন ক্ষতিপূরন দেয়নি।
এদিকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমার থানা পুলিশ ও সোনারায় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ডোমার থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান বিষয়টি তাদের দলীয় বিষয় হওয়ায় ঘটনাটি সমাধানে  সোনারায় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এ বিষয় নিয়ে কেউ মামলা করতে চাইলে তা গ্রহন করা হবে।
সোনারায় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সহীদ আহম্মেদ  শান্তু বলেন ফার্মের হাটে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। যা সমাধান করা হয়েছে। তবে সোনারায় ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মজিবুল ইসলামের বিষয়ে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা যুবলীগকে অবগত করা হয়েছে।
সোনারায় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী বলেন তুচ্ছ ঘটনাটি সমাধান করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5313077293503414239

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item