সৈয়দপুরে গৃহবধূ ডলি দুইটি কিডনিই নষ্ট ঃ চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন
https://www.obolokon24.com/2017/04/saidpur_8.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সৈয়দপুরে গৃহবধূ মোসাম্মাৎ ডলি বেগমের দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে বাঁচাতে তাঁর সুচিকিৎসার জন্য মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন। তাই তাঁর চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের সহৃদয়বান ও বিত্তশালীদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে।
গৃহবধূ মোসাম্মাৎ ডলি বেগমের বাড়ি রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার লক্ষèীপুর গ্রামে। স্বামী ও নয় বছরের একমাত্র শিশুপুত্র মশিউর রহমানকে নিয়ে তাঁর সুন্দর সাজানো গোঁজানো একটি সংসার। একটি বেসরকারি কোম্পানি কর্মরত স্বামী মাসুদ রানা মনজু’র চাকরির সুবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থান। মাসুদ রানার যৎসামান্য আয়ে সুখে-শান্তি ভালভাবে চলছিল ওই ছোট সুখী পরিবারটি। কিন্তু গত দেড় বছর আগে গৃহবধূ ডলি বেগমের কিডনির সমস্যা ধরে পড়ে। এরপর থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনী বিভাগের কিডনী ও মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ. কে. এম মনোয়ারুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা চলছে অসুস্থ গৃহবধূ ডলি’র। তাঁর দুইটি কিডনীর ৮ দশমিক ৪ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ডলি বেগমের চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় করেছে স্বল্প আয়ের পরিবারটি। এখন প্রতি সপ্তাহে ২ বার ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে তাকে। এতে একবারে সাড়ে ৫ টাকা টাকা খরচ হচ্ছে। একটি বেসরকারি কোম্পানি কর্মরত স্বামী মাসুদ রানার পক্ষে স্ত্রীর চিকিৎসায় এ ব্যয় নির্বাহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। স্ত্রী’র কিডনী চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে স্বামী মাসুদ রানা এখন প্রায় সর্বস্বান্ত। জীবনসঙ্গী মানুষটিকে বাঁচাতে অনেক ঋণগ্রস্থও হয়ে পড়েছেন তিনি। আদরের একমাত্র সন্তানের চিন্তা সারাক্ষণ তাকে ব্যাকুল করে। তিনি চান তাঁর স্ত্রী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক দ্রুত। আবারও তাদের সংসারে সুখ-শান্তিতে ভরে উঠুক। কিন্তু তাঁর সব চাওয়া পাওয়া ব্যর্থ হচ্ছে শুধুমাত্র অর্থাভাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসক তাঁর উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি স্ত্রীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে পারছেন না। এ অবস্থায় তিনি স্ত্রীকে মৃত্যুর বাঁচাতে দেশ ও সমাজের সহৃদয়বান ও সম্পদশালী মানুষদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তাকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, হিসাব নম্বর: ১৬২১০৩১৩২৯৪ অথবা বিকাশ ০১৯৩৭-৪৯০৬৭৮ নম্বর- এ সাহায্য পাঠাতে পারেন।