পীরগাছায় মাদ্রাসার সুপার বরখাস্ত

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ

সরকারী ল্যাপটপ বিক্রয় অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র প্রদান ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে রংপুরের পীরগাছার তাম্বুলপুর দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার  রনজিনা বেগমকে বরখাস্থ করেছেন স্থানীয় ম্যানেজিং কমিটি।
জানা যায়, উপজেলার বহুল আলোচিত তাম্বুলপুর দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসায় অনেকটা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহবুবার রহমান রনজিনা বেগমকে সুপার হিসেবে নিযোগ প্রদান করেন। নিয়োগপ্রাপ্ত সুপার যোগদানের পর থেকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি প্রতিষ্টানের সকল ধরনের কাজ একাই করেন। তার অফিস সহকারিকে দিয়ে তিনি প্রতিষ্টানের কাজ না করায় গত জেডিসি-২০১৬ ও দাখিল-২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীর রেজিঃষ্ট্রেশন কার্ডে ছবির গড়মিল হয়। পরিক্ষার্থীদের রেজিঃষ্ট্রেশন কার্ডে ছবির গড়মিল হওয়ায় পরিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এলাকায় জানাজানির এক পর্যায়ে স্থানীয় অভিভাবকরা তাকে লাঞ্চিত করে। রনজিনা বেগম সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্টানটিকে পুজি করে অর্থ উপার্জনে মরিয়া হয়ে উঠেন। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি’সহ সকল ধরনের আর্থিক লেনদেন তিনি করে থাকেন। সম্প্রতি ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি অফিস রুমে সভায় বসে সরকারি ল্যাপটপ এর বিষয়ে কথা হলে সুপার রনজিনা বেগম বলেন ল্যাপটপ হারিয়েছে।  তৎক্ষনাৎ ওই সভায় উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক তার কথার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন সুপার সরকারি ল্যাপটপ বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। সভায় উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক আরো জানান, বর্তমান সুপার আমাদের প্রতিষ্টান থেকে পাশ করা পিইসি ও জেডিসি ভাল ফলাফলকারী প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে কোন কারন ছাড়াই ছাড়পত্র দিয়ে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা আয় করেন। ফলে আমাদের প্রতিষ্টানের অনেক শিক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে সভাপতি নোটিশের মাধ্যমে আগামী ৭দিনের মধ্যে জবাব চান এবং সরকারি ল্যাপটপ অফিস রুমে নিয়ে আসার জন্য তাগিদ প্রদান করেন। তিনি দীর্ঘদিনেও সরকারী ল্যাপটপসহ নোটিশের জবাব না দেওয়ায় বর্তমান সভাপতি প্রতিষ্টানের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সুপার রনজিনা বেগমকে গত ৪ এপ্রিল বরখাস্থ করে এবং ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে আদল হোসেনকে দায়িত্বভার প্রদান করেন।
এব্যাপারে বরখাস্থকৃত সুপার রনজিনা বেগম এর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহিন সরদার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারী ল্যাপটপ বিক্রয় ও মাদ্রাসায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বরখাস্থ করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সুজা মিয়া এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, শূধূ ল্যাপটপ কেন সরকারি কোন কিছুই সুপারের বিক্রয় করার এখতিয়ার নাই।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5939738572168240882

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item