রংপুর নগরীতে উন্নয়ন কাজের ধীরগতিতে চরম দুর্ভোগে জনসাধারণ

এস.কে.মামুন

রংপুর সিটি কর্পোরেশন’র আওতায় ড্রেন ও রাস্তার উন্নয়ন মূলক কাজের ধীরগতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণ। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি আরোও বেড়েছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে, কাদা হওয়ায় রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা সহ অন্যান্য যানবাহন ও  জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ দিকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন, রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারমূলক কাজ চলায় নগরীর বিভিন্ন রুটে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। সিটি কর্পোরেশন’র উন্নয়নমূলক কাজের ধীরগতির জন্য সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ায় সুশীল সমাজ চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাস্তার কাজের যন্ত্রপাতি, ইট, বালু, পাথর সহ অন্যান্য মালামাল ও ড্রেনের  জন্য খোঁড়া মাটি রাস্তার উপর ফেলে রাখা হয়েছে। এসব সরানোর কোন উদ্যোগ নেই ঠিকাদার বা কর্তৃপক্ষের। ফলে পুরো রাস্তাটি হয়ে পড়েছে সঙ্কুচিত ও ঝুকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে এসব মালামাল রাস্তার উপর পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল সহ স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর কতদিন ঝুকিপূর্ণ জবীন নিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করবে ছাত্র ছাত্রীরা দুশচিন্তায় ভূগছে তাদের পরিবারগন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ৩৬ কিলোমিটার ড্রেন ৩৯ কিলোমিটার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ সব নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে যার কারণে নগরীর প্রায় ১৬টি  এলাকার মানুষকে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে পায়রা চত্বর, সেন্ট্রাল রোড, মাহিগঞ্জ, তাজহাট, রবার্টসনগঞ্জ, ঠিকাদারপাড়া, আলমনগর, বাবুপাড়া, নূরপুর, গুপ্তপাড়া, কামালকাছনা, বৈরাগীপাড়া, শালবন, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, দখিগঞ্জ, খাসবাগ ও বালাপাড়ার এলাকাবাসীকে। এ সব নির্মাণাধীন রাস্Íা গুলো নগরীর  গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়া সত্বেও রংপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের কোন জরালো ভূমিকা নেই বল্লেই চলে। যে কোনো সময় খানাখন্দে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা বলেন, ২০ দিনের বেশি সময় হলো রাস্তার মাটি খুড়ে রাখা হয়েছে। দিনের বেলা রাস্তার মধ্যে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও রাতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। আর বিদ্যুৎ চলে গেলে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে যায়। নগরীর নূরপুর রাস্তারও বেহাল দশা। এখানে ড্রেন নির্মাণ হলেও ড্রেনের ঢাকনা বসানো হয়নি। সেই সঙ্গে রাস্তার উপর মাটি, বালু ও পাথর পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় তিন মাস ধরে আমরা এলাকাবাসী খুব কষ্টের মধ্যে চলাচল করছি। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙাতে ড্রেন নির্মাণ কাজে সময় লাগছে। এরপরও আমি ঠিকাদাদের বলেছি, তারা যেন সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4060162309933580745

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item