পীরগঞ্জে বড় আলমপুর ও বড়দরগাহ ইউপিতে নির্বাচন আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ !

মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আগামী ১৬ এপ্রিল রোববার বড়দরগাহ্্ ও বড়আলমপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। গত ৩১ মার্চ বড়দরগাহ ইউপিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়। ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্বা নুরুল হক আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। মরহুম বাবলু চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী তহুরা বেগম ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হলে বাবলু’র বড় মেয়ে মাফিয়া আক্তার শীলা আনারস প্রতিকে ও এমদাদুল হক ঘোড়া প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বাবলু চেয়ারম্যানের জয়প্রিয়তা এবং এমদাদুল হক সাবেক চেয়ারম্যান থাকায় ভোট যুদ্ধ বেশ জমে উঠেছে। ফলে নৌকার ঘাঁটিতে নিশ্চিত জয়ে বাধাঁ হয়ে দাাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দিনে দিনে জয়-পরাজয়ে হিসেব মেলানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বড় আলমপুর ইউপিতে ঢাকা প্রবাসী শহীদ পরিবারের সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোদাব্বেরুল  ইসলাম সাজু নৌকা প্রতিক পেয়ে মাঠে নেমেছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজার রহমান আনারস প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। ওই ইউপিতে গোলাম মোস্তফা প্রধান নামে বিএনপির ধানেরশীষে প্রার্থী থাকলেও মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকার সাথে আনারসের। বিগত নির্বাচনের ফলাফলে বড় আলমপুর ইউনিয়ন বাসিন্দারা আওয়ামীলীগ এন্টি সেন্টিমেন্টে বরাবরই ভোট দিয়ে আসছে। বড়আলমপুরে নৌকা প্রতীকের সাথে আনারস প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে ইউনিয়নটির ভোটারদের সুত্রে জানা গেছে। কারণ হাফিজার রহমান সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়নে তার ব্যাপাক সামাজিক বিনিয়োগ রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটাররা জানান। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ঢাকায় অবস্থান করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আ’লীগ নেতারা বলছেন, হাফিজার রহমান নিঃসন্দেহে হেভিওয়েট প্রার্থী। কারণ ইউনিয়নে তার সামাজিক কর্মকান্ডগুলোই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা মনে করছি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজার রহমান বলেন, দলীয়ভাবে নৌকা প্রতীক চেয়ে আমি আবেদন করলে তৃণমুল পর্যায় থেকে (উপজেলা ও জেলা) ৩ প্রার্থীর মধ্যে আমাকে ১ম মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আমি মনে করি ইউনিয়নবাসীর কাছে আমার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে, তাই প্রার্থী হয়েছি। দলের অনেক নেতাকর্মীও আমার সাথে আছেন।

ফলে এই ইউপিতেও নৌকার সাথে আনারসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। দুটি ইউপিতেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা প্রতিনিয়ত মিটিং, মিছিল ও জনসভা অব্যাহত রেখেছেন। আলমপুর ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হাফিজার রহমান, বড়দরগাহ ইউপিতে মাফিয়া আক্তার শীলা ও এমদাদুল হক দাবি করেছেন- সুষ্ঠু  নির্বাচন হলে তাদের বিজয় নিশ্চিত। এদিকে নুরুল হক ও মোদাব্বেরুল ইসলাম সাজু জানান, জনগন উন্নয়নের পক্ষে, পীরগঞ্জের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে ভোটাররা ভুল করবেন না, ১৬ তারিখ নৌকার বিজয় নিশ্চিত। এছাড়াও ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ মন্ডল জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় শুন্যপদে একই দিনে শুধুমাত্র ১ টি সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 951976736063642470

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item