রংপুর বিভাগের আট জেলায় বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশকে সহায়তা করুন
https://www.obolokon24.com/2017/04/blog-post_4.html
বিশেষ প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল॥ গত চারবছর আগেও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। সে সময় বাড়ির মালিকদেরও তথ্য স্ব-স্ব থানায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।পুলিশ বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের অভিযানেও নামে। কিন্তু পুলিশ তাতে সাড়া পায়নি। পুলিশের সে সময়ের তথ্য সংগ্রহের অভিযানও দায়সারা গোছের ছিল বলে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফলে সম্প্রতিকালে দেশের সিলেট,কুমিল্লা সহ বিভিন্ন স্থানে ভাড়াবাসায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান এবং জঙ্গি হঠাতে অভিযান করা হয়। ভাড়াটিয়া সেজে জঙ্গী তৎপরতা চালানোয় অভিযানে নারীসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গী নিহত হয়। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সারা দেশের ন্যায় রংপুর বিভাগের আট জেলা রংপুর,নীলফামারী,দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড়,লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার সকল উপজেলায় পুলিশ প্রশাসন এবার নড়েচড়ে বসেছে। ফলে নতুন ভাবে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য পুলিশের কাছে থাকলে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে বলে মনে
করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর কর্মকর্তারা। আর এ জন্য পুলিশের পক্ষে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সকল বাসাবাড়ির ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে রংপুর বিভাগের প্রতিটি এলাকার থানা পুলিশ। এই কাজে সহায়তা করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় জমা দিবেন এবং ভাড়াটিয়াদের
বাসা ভাড়া দেওয়ার পূর্বে ভাড়াটিয়ার সকল প্রমাণপত্র সংগ্রহ, এবং তা সঠিক কি না যাচাই করে পুলিশের সংগ্রহ ফরমে নাম ঠিকানা সংযুক্ত করে ভাড়া দিতে হবে।
এছাড়া ভাড়াটিয়াদের বাসায় আগত অতিথি, ব্যক্তিসহ অন্যান্যদের সাথে স¤পর্কসহ সার্বিক গতিবিদ সন্দেহজনক হলে তাৎক্ষনিক পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ জানান এবং ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভাড়াটিয়ার তথ্য জমা না দিলে পরবর্তীতে ভাড়াবাসায় থাকা ব্যক্তি কোনও প্রকার অপরাধমূলক কার্যকলাপ করে থাকলে সেই বাসা মালিক দোষীসাব্যস্ত হবেন।
২০১৩ সাল থেকেই বেশ কয়বার এভাবে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে ভাড়াটিয়াদের তথ্য নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি, আংশিকভাবে তথ্য সংগ্রহের মধ্যেই ছিল সীমাবদ্ধ। সম্প্রতি বাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গি কর্মকান্ড, বাড়ির মালিকের স্বজনদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও বাড়ির মালিকের বাসায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তাই আবারো ভাড়াটিয়াদের কাছে এ প্রক্রিয়ায় নতুন করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিটি থানায় কড়া নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
পুলিশের একটি সুত্র জানায় “জঙ্গি কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা ছদ্মনামে বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এরপর সুযোগ বুঝে অপরাধ করে বাড়ির ভাড়া না দিয়েই পালিয়ে যায়।”
অনেক বাড়ির মালিক জানায় তারা পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এই তথ্য সংগ্রহ করতে আসা পুলিশ সদস্যরা যাতে পোষাক পড়ে দিনের বেলায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করে যেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনার কাগজপত্র সঙ্গে থাকবে। “এ সংক্রান্ত কাগজ থাকলে বিষয়টি বাড়িওয়ালাদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে।”
এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “পুলিশের কর্মকর্তারা যখন তথ্য সংগ্রহ করতে যাবেন তখন তারা যেন নিজ ইউনিফর্ম পরে যান এবং নিজেদের পরিচয় দেন সে নির্দেশনা দেয়া আছে।”
ফলে সম্প্রতিকালে দেশের সিলেট,কুমিল্লা সহ বিভিন্ন স্থানে ভাড়াবাসায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান এবং জঙ্গি হঠাতে অভিযান করা হয়। ভাড়াটিয়া সেজে জঙ্গী তৎপরতা চালানোয় অভিযানে নারীসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গী নিহত হয়। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সারা দেশের ন্যায় রংপুর বিভাগের আট জেলা রংপুর,নীলফামারী,দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড়,লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার সকল উপজেলায় পুলিশ প্রশাসন এবার নড়েচড়ে বসেছে। ফলে নতুন ভাবে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য পুলিশের কাছে থাকলে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে বলে মনে
করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর কর্মকর্তারা। আর এ জন্য পুলিশের পক্ষে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সকল বাসাবাড়ির ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে রংপুর বিভাগের প্রতিটি এলাকার থানা পুলিশ। এই কাজে সহায়তা করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় জমা দিবেন এবং ভাড়াটিয়াদের
বাসা ভাড়া দেওয়ার পূর্বে ভাড়াটিয়ার সকল প্রমাণপত্র সংগ্রহ, এবং তা সঠিক কি না যাচাই করে পুলিশের সংগ্রহ ফরমে নাম ঠিকানা সংযুক্ত করে ভাড়া দিতে হবে।
এছাড়া ভাড়াটিয়াদের বাসায় আগত অতিথি, ব্যক্তিসহ অন্যান্যদের সাথে স¤পর্কসহ সার্বিক গতিবিদ সন্দেহজনক হলে তাৎক্ষনিক পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ জানান এবং ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভাড়াটিয়ার তথ্য জমা না দিলে পরবর্তীতে ভাড়াবাসায় থাকা ব্যক্তি কোনও প্রকার অপরাধমূলক কার্যকলাপ করে থাকলে সেই বাসা মালিক দোষীসাব্যস্ত হবেন।
২০১৩ সাল থেকেই বেশ কয়বার এভাবে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে ভাড়াটিয়াদের তথ্য নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি, আংশিকভাবে তথ্য সংগ্রহের মধ্যেই ছিল সীমাবদ্ধ। সম্প্রতি বাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গি কর্মকান্ড, বাড়ির মালিকের স্বজনদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও বাড়ির মালিকের বাসায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তাই আবারো ভাড়াটিয়াদের কাছে এ প্রক্রিয়ায় নতুন করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিটি থানায় কড়া নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
পুলিশের একটি সুত্র জানায় “জঙ্গি কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা ছদ্মনামে বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এরপর সুযোগ বুঝে অপরাধ করে বাড়ির ভাড়া না দিয়েই পালিয়ে যায়।”
অনেক বাড়ির মালিক জানায় তারা পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এই তথ্য সংগ্রহ করতে আসা পুলিশ সদস্যরা যাতে পোষাক পড়ে দিনের বেলায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করে যেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনার কাগজপত্র সঙ্গে থাকবে। “এ সংক্রান্ত কাগজ থাকলে বিষয়টি বাড়িওয়ালাদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে।”
এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “পুলিশের কর্মকর্তারা যখন তথ্য সংগ্রহ করতে যাবেন তখন তারা যেন নিজ ইউনিফর্ম পরে যান এবং নিজেদের পরিচয় দেন সে নির্দেশনা দেয়া আছে।”