হরিপুরে জমাটবাঁধা সার নিয়ে বিপাকে কৃষক ও ডিলাররা

জে,ইতি হরিপুর,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

চীন থেকে আমদানী করা জমাট বাঁধা মোটা দানা ইউরিয়া সার নিয়ে বিপাকে পরেছেন ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার কৃষক ও ডিলাররা। বাধ্যতামূলক কেনা এই সব সার বিক্রি করতে না পেরে গুদামে  পরে থেকে ব্যবসায়ীদের আটকা পড়েছে লাখ লাখ টাকা।
 জমাটবাঁধা এই সব ইউরিয়া সার আমদানি করার প্রতিবাদে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে বার বার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ বাফার গুদাম থেকে  ইউরিয়ার সার কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেন হরিপুর উপজেলার ডিলাররা। কিন্তু এক বছর ধরে প্রতিমাসের বরাদ্দকৃত সারের সঙ্গে বাধ্যতামূলক চীন থেকে আমদানি করা জমাট বাধা ইউরিয়া সার তাদের দেওয়া হচ্ছে। ফলে এইসব সার অতিরিক্ত শ্রমিকের মাধ্যমে লাঠি ও হ্যামার দিয়ে পিটিয়ে গুড়ো করে বিক্রির চেষ্টা করছেন ডিলাররা।
 পরিবহন খরচসহ প্রতি বস্তায় সার ৭৬০ টাকা কিনা হলেও কৃষকের কাছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করে লোকসান গুনছেন তারা। প্রান্তিক কৃষক এসব সার জমিতে ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছেন।
তারা জানান, জমাট বাঁধা সারের গুড়া ধানের জমিতে ছিটানোর পর গাছের কোন উপকার আসে না। বরং কোন কোন জমির ধানের চারা লাল হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই কৃষক জমাট বাঁধা চীনা সার ব্যবহার থেকে বিরত রয়েছে এতে করে ডিলারদের গুদামে জমাট বাঁধা অবিক্রীত সারের মজুদ দিন দিন বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, চীন থেকে আমদানি করার পর খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। উপযুক্ত স্থানে না রাখার ফলে সারের গুনগত মান নষ্ট হয়ে জমান বেঁধে যায় বলে কৃষকের ধারণা। ফলে তারা এসব সার জমিতে ব্যবহার করতে আগ্রহী নন। সার কারখানা থেকে তাদের ঘাড়ে জমাটবাঁধা এসব সার চাপিয়ে দেওয়ার কারণে এখন বড় ধরনের লোকসানের মুখে রয়েছেন তারা। এ সার এখন ব্যবসায়ীদের গলায় ফাঁস হয়ে দারিয়েছেন।
 এই বিষয়ে হরিপুর উপজেলার আবুল কাসেম (বর্ষা) বলেন, শিবগঞ্জ রাফার গুদাম থেকে সার আনা হয়। প্রতি ১০০ বস্তায় বাধ্যতামূলক আমাদের ৪০/৬০ বস্তা চীনা মোটা দানা ইউরিয়া সার দেয়া হয়। এই সার বিক্রি করতে না পেরে চরম বেকায়দায় করেছি আমরা। তাছাড়া এতে পূঁজি আটকা পরে বাড়ছে ব্যংক  ঋনের সুদহার। এতে হতাশ হয়ে পরেছেন ব্যবসায়ীরা।
দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতি দাবি জনান ব্যবসায়ীরা। তা না হলে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবেন না তেমনই কৃষকও এসব সার ব্যবহার করে ফসলের ভালো ফলন পেতে বঞ্চিত হবেন।
 জানতে চাইলে হরিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নঈমুল হুদা সরকার জানান, সঠিক ও যথা স্থানে গুদামজাত না করার ফলে সার জমাটবেঁধে যওয়ার আশঙ্কাই বেশি। জমাটবেঁধে গেলে সারের গুনগত মান বা কার্যক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যায়। ফলে কৃষক এসব সার জমিতে ব্যবহার করতে চান না।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 365746431344990369

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item