পীরগঞ্জের মাদারগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দূর্গন্ধে শ্রেণীকক্ষে নাকে ওড়না চেপে শিক্ষার্থীরা

মামুনুররশিদ মেরাজুল -

পায়খানা ও গবাদীপশুর বর্জের দূর্গন্ধে নাকে ওড়না চেপে শ্রেণী কক্ষে লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা। ৫/৭ মিনিট পর পর শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষের বাহিরে এসে নিশ্বাস নিয়ে আবারো ফিরছে শ্রেণী কক্ষে। এ চিত্র পীরগঞ্জের মাদারগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের।
জানা গেছে, বিগত ১৯৭৩ইং সালে উপজেলার মাদারগঞ্জ বন্দরে নারী শিক্ষায় এলাকাবাসী ‘মাদারগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর থেকেই ওই এলাকায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি বেশ চোখে পড়ার মতো। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অফিস রুমসহ ১০টি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে এর মধ্যে ৩টিতে উক্ত অবস্থা। প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন চৌধুরী জানান‘ বিদ্যালয়ের পাশের জমিটি মাদারগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন শেখ ও তার ভাগ্নী সাদুল্লাপুরের ‘তরফ কামাল বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনিছা বেগমের। প্রতি বছরের ন্যায় গত বছরেও বিদ্যালয় গ্রীস্মকালীন ছুটি দেয়া হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার সুবাদে বিদ্যালয়ের অফিস রুম ও শ্রেণী কক্ষের জানালা ঘেঁষে পায়খানা ও গবাদীপশুর খামার দিয়েছেন ওই জমির মালিক উল্লেখিত দু’শিক্ষক। জানালা দিয়ে গবাদীপশুর বর্জ, মলমুত্র এবং পায়খানার দূর্গন্ধ আসে অফিস রুমসহ শ্রেণী কক্ষে। শ্রেণী কক্ষের জানালা বন্ধ করে দূর্গন্ধ রোধ করা সম্ভব হয় না। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে অবস্থান করতে পারে না। এ অবস্থা উত্তোরনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যগন গবাদীপশুর খামার মালিককে একাধিকবার অনুরোধ করার পরেও এর সমাধান করতে পারেননি। শিক্ষক নাকে রুমাল ও শিক্ষার্থীরা ওড়না চেপে অতিকষ্টে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিক্ষার্থী ছাদিয়া, আইরিন, স্বপ্না, আঁখি, মুসরাত জানায়‘ স্যার যতক্ষন পাঠদান করান ততক্ষন অতিকষ্টে নাকে ওড়না চেপে লেখাপড়া করি। তাও আবার ৫/৭মিনিট পর পর বাহিরে গিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে ক্লাসে ফিরতে হয়। এভাবে লেখাপড়া করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা এর সুব্যবস্থা চাই। এ ব্যাপারে গবাদীপশুর খামারের মালিক সাদুল্লাপুরের ‘তরফ কামাল বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনিছা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান‘ আমার জায়গায় তো আর আমি ফেলে রাখবো না। মাদারগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন শেখ জানান‘ আমার জায়গায় আমি অবকাঠামো নির্মান করেছি। সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম. ফারুক আহম্মেদ জানান‘ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ওই স্থানটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি আমার বিচারের আওতায় পড়ে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিচালনা পর্ষদ, অভিভাবক ও স্থানীয়রা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী জানিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4357029940187114466

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item