অভিনেতা মিজু আহমেদ আর নেই

দেশীয় চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা মিজু আহমেদ আর নেই। সোমবার রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার ও শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান  জানান, আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়ার পরিচালনায় ‘মানুষ কেন অমানুষ’ নামের একটি ছবির কাজ করতে দিনাজপুর যাওয়ার জন্য সোমবার কমলাপুর থেকে ট্রেনে রওনা দেন। পথিমধ্যে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বিমানবন্দর স্টেশনের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিজু আহমেদ থাকতেন রাজধানীর পান্থপথে। তার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে সেখানে। জানাজা কিংবা শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য তাকে এফডিসিতে কখন নেওয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন পরিবারের সদস্যরা। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব এ তথ্য জানান।

কুষ্টিয়ায় ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মেছিলেন মিজু আহমেদ। তার প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। শৈশব থেকে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন তিনি। তাই কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলে যোগ দেন।

১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মিজু আহমেদ। কয়েক বছরের মধ্যে ঢালিউডে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান তিনি। অসাধারণ অভিনয়ের সুবাদে ১৯৯২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

মিজু আহমেদ অভিনীত ছবির তালিকায় আরও উল্লেখযোগ্য- মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪) ইত্যাদি।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন মিজু আহমেদ। প্রয়াত অভিনেতা রাজীবকে নিয়ে তার গড়া প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ থেকে বেশ কয়েকটি ছবি তৈরি হয়েছিল।

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 82432267463956347

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item