চিকিৎসক সংকটে হরিপুর হাসপাতাল সেবা বঞ্চিত রোগীরা

জে. ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার মানুষ। হরিপুরে ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকার পরও চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার এবং সরঞ্জামাদী ব্যবহার হয় না। ফলে নষ্ট হওয়ার পথে লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারি সম্পদ। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধপত্র দেওয়া হয় হাসপাতালের অনুকূলে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবেই সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ২১ জন ডাক্তার থাকার কথা। এর মধ্যে ১০ জন (জুনিকণ) বিশেষজ্ঞ ১১ জন বিভিন্ন পর্যায়ের মেডিকেল অফিসার। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য এই ২১ জন ডাক্তারের মধ্যে হাসপাতালে ডাক্তার বলতে শুধু টিএইচএ ডাঃ মোঃ আঃ সামাদ চৌধুরী রয়েছেন। কাগজে কলমে ৪ জন এমও থাকলেও ৩ জন প্রেশনে ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছেন। ১ জন এমও ডাঃ মোঃ হাসান জামিন ইবনে রউফ এই ২ জন চিকিৎসক দিয়েই উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা চলছে। মেডিসিন সার্জারী, অ্যানেস্থেসিয়া, নাক-কান-গোলা, শিশু ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় প্রতিদিন শতশত লোক চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জরুরী বিভাগে ৩ জন কর্মচারীর মধ্যে আছে মাত্র ১ জন, আয়া ২ জনের মধ্যে ১ জন থাকলেও সে অসুস্থ্য। উপজেলার একমাত্র উপ-স্বাস্থ্যটিতে ২ জন ডাক্তারসহ মোট ৫ জন জনবল থাকার নিয়ম থাকলেও আছে মাত্র ১ জন সেকমো। এদিয়েই চলছে ১টি ইউনিয়নের সেবা। ৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতিটিতে ১ জন করে ডাক্তার থাকার নিয়ম থাকলেও কোনটিতেই ডাক্তার নেই। সব মিলিয়ে হরিপুর উপজেলার হাসপাতাল, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সবগুলোতেই ডাক্তার শুণ্যতার ছড়াছড়ি।
ভূক্তভোগী ব্যক্তিরা বলেন, চিকিৎসক সহ লোকবল আর নানা সমস্যার কারণে উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসা এই হাসপাতালটি যেন নিজেই রোগী হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে উপজেলার মানুষকে চিকিৎসার অভাবে মরতে হবে। যার টাকা আছে তারা বাইরে গিয়ে দেশের অভ্যান্তরে চিকিৎসা নিচ্ছে কিন্তু আমরা কথায় যাব। গরীব অসহায় মানুষের কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন অতিজরুরী ভাবে হরিপুর হাসপাতালে ডাক্তার পাঠানোর ব্যবস্থা নেন।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জানানো হয়েছে। অতিশিগ্রই এ সংকঠ কেটে উঠবে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 6225257558753839965

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item