সীমাহীন দুর্নীতির শীর্ষে বড় শশী মহিষ বাথান স:প্রা:বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড় শশী ইউনিয়নের মহিষ বাথান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সপিয়ার রহমানের  বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ  জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে দায়ের করেও অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই  শিক্ষা অফিস উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বদলী করলেও পুণরায় সে অসীম খুটির জোরে পুণরায় সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। সরজমিনে ঘটনা স্থালে গিয়ে জানা গেছে, বোদা উপজেলার ১১১নং বড় শশী মহিষ বাথান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সাবেক প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান শিক্ষক সফিয়ার রহমান এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বার্নির ঘাট অনুষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ মামলায় আসামী হয়ে ১৯ দিন কারা ভোগ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী স্কুল ড্রেস বানানোর নাম করে প্রয়োজনের অতিরিক্ত  উপবৃত্তির টাকা রেখে উপবৃত্তি প্রদান করে। কোচিং এর নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোপূর্বক টাকা আদায়। স্কুল মেরামতের স্লীপের টাকা, শিশু শ্রেণির সরঞ্জামের টাকা আত্মসাৎ করা সহ তিনি নির্বাচিত ম্যানিজিং কমিটির প্রতিনিধিদের  দায়িত্ব প্রদান না করা। মাসের পর মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় নিয়মিত অথিতি হিসেবে স্বাক্ষর করা। এই বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটাল শিক্ষার মানকে নি¤œ স্থানে নিয়ে আসাসহ এমন কোন অনিয়ম নেই যে, এই প্রধান শিক্ষক সফিয়ার রহমান করেননি। কিছুদিনপূর্বে উক্ত দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অভিযোগরে পাল্লা ভারি হলে শিক্ষা অফিস তরিঘরি করে তাকে অন্যত্য বদলী করে দেয় এবং সেই স্থানে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক মোঃ ফজলুল করিমকে দায়িত্ব প্রধান করেন। ফজলুল করিম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির বেড়াজাল থেকে বের করে বোদা উপজেলার মডেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং শিক্ষার মানকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রামণিত দুর্নীতির শীর্ষে থাকা প্রধান শিক্ষক সফিয়ার রহমান একটি কু-চক্রী মহলের মদদে পূণরায় সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ অভিযোগ করে বলেন, একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও তাকে শিক্ষা অফিস বদলী করার পর কিভাবে পুণরায় সেই প্রধান শিক্ষক সাবেক জায়গায় আসে? যদি সে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে তাহলে হয়তো এলাকার মানুষ  এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিবে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে না  আসা পর্যন্ত। এর দায়ভার জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বহন করতে হবে।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 7555434963904009885

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item