পীরগঞ্জে সাবাড় হচ্ছে রাস্তার গাছ!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ

পীরগঞ্জে ইউএনও এবং ওসির বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় লাগানো সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। ফলে আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও সমিতির সাধারন সদস্যরা। গতকাল শনিবার উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তার সহস্রাধিক গাছ অবৈধভাবে কাটা হলেও ইউএনও-পুলিশ কেউই ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীন রাস্তাগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে চুক্তি করে অংশীদারের ভিত্তিতে বিভিন্ন সমিতি ইউক্যালিপটাস গাছের চারা রোপন করেছিল। ওইসব গাছ এখন বিক্রয় উপযোগী হওয়ায় সমিতির পক্ষ থেকে গাছগুলো বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন সমিতিই বিধি মানছে না। বিধি রয়েছে, গাছ লাগানো সমিতির আবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা বন বিভাগ গাছের কান্ডে মার্কিং (নম্বর) করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রদান করার। এরপর উপজেলা বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটিতে গাছ বিক্রির অনুমোদন হলে জেলা কমিটিতে পুনরায় অনুমোদন নিতে হবে। ওই অনুমোদনের প্রেক্ষিতে মাইেিক প্রচার করে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ডাককারীকে গাছ দেয়া হবে। এরপর চুক্তি মোতাবেক উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং রাস্তার পাশের জমি মালিকদেরকে নির্দিষ্ট হারে টাকা দেয়ারও বিধি রয়েছে। কিন্তু কেউই ওই বিধি না মেনে শুধুমাত্র ইউপি চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে গোপনে গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দলীয় প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। দলের প্রভাবের কারণে ইউএনও সঠিক সিদ্ধান্ত পারছেন না বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে। অপরদিকে দলীয় প্রভাবের কারণে অবৈধভাবে গাছ কর্তনের ঘটনায় বনবীট কর্মকর্তাও মামলার বাদী হতে পারছেন না। ফলে ওসি গাছ কর্তনের খবর পেলেও আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। এ ভাবেই উপজেলার রামনাথপুর, চৈত্রকোল, বড়আলমপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের রাস্তায় লাগানো সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। গতকাল বড়আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে বড়আলমপুর থেকে ঢেকিরপাড়া রাস্তার ৫ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের সহস্রাধিক গাছ কর্তন শুরু করা হয়েছে। ওই কাঠ ব্যবসায়ী রাজু মিয়া ও মিঠু মিয়া জানায়, আমরা চেয়ারম্যানের অনুমতিপত্র পেয়েই গাছ কাটছি। এলাকাবাসী ও সমিতির সদস্যরা বিষয়টি ওসিকে অবগত করলেও তিনি গাছ কাটা ঠেকাতে যাননি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহমান বলেন, সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করায় আমি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত দিয়েছি। ওসি রেজাউল করিম বলেন, ইউএনও কে বলেন, কারণ আমি গাছ আটক করলে নানান ঝামেলা তৈরী হচ্ছে। ইতিমধ্যে গাছ কাটার ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। এতে আমাদের সমস্যাও হয়েছে। ইউএনও কমল কুমার ঘোষকে মোবাইল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7257477491948294524

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item