পীরগাছায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি ও স্লিপের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ

রংপুরের পীরগাছায় এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তিসহ বিদ্যালয়  সংস্কারের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। সভাপতিসহ অফিস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে ভূয়া কার্ডের ছড়াছড়ি।
জানা যায়, উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯৯৯ সালে হরিচরন পাড়া বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়টি জাতীয়করন হয়। প্রতিষ্টার সময় থেকে আজ অবধি মশিয়ার রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে আসছেন। ওই বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি সুবিধাভোগী ১১৮ জন। গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১১৮ জন সুবিধাভোগীর মাঝে উপবৃত্তি বিতরন করেন। এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন ভূয়া সুবিধাভোগীর অর্ধ লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেন বলে জানা যায়। বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক-এ কোন শিক্ষার্থী না থাকলেও ১৪ জন ভূয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে উপবৃত্তি উত্তোলন করে আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক মশিয়ার রহমান। সুবিধাভোগী অশ্র“ খাতুন মাতা রহিমা যার ক্রমিক নং-১৪ বর্তমানে পাওটানাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মিথুন মাতা সান্তনা বেগম যার ক্রমিক নং-২৬ পাওটানাহাট বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মিশকাত জাহান মাতা সান্তনা বেগম যার ক্রমিক নং- ৭৪ দুই বছরের নীচে বলে জানা। উক্ত তিন জন সুবিধাভোগী প্রধান শিক্ষক মশিয়ার রহমান এর সন্তান বলে সুত্রে জানা যায়। বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির উপবৃত্তি সুবিধাভোগী  ২২ জন এর মধ্যে ১০ ভূয়া, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২৪ জন এর মধ্যে ৯ জন ভূয়া, তৃতীয় শ্রেণিতে ১১ জন এর মধ্যে ৭ জন ভূয়া, চতুর্থ শ্রেণিতে ২০ জন এর মধ্যে ৯ জন ভূয়া শিক্ষার্থী দেখিয়েছেন। চাহিদায় প্রদেয় মিথূন এর অভিভাবক সান্তনা বেগম এর মোবাইল (১৭৪১০৭৭২৬৮) এ কথা হলে তিনি জানান, আমার সন্তান কুটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করে পাওটানাহাট বালিকা উচ্চ দ্যিালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
গত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) এর ৩০ হাজার, প্রাক-প্রাথমিক এর ৫ হাজার টাকার কাজ না করে আত্মসাত কারণ। এছাড়াও গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) এর ৪০ হাজার, প্রাক-প্রাথমিক এর ৫ হাজার এবং রুটিন মেরামত বাবদ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে নাম সর্বস্ব কাজ করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেন।
প্রধান শিক্ষক মশিয়ার রহমান এর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, উত্তোলনকৃত অতিরিক্ত টাকা সভাপতিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভাগ দিতে হয়।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইকবাল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিক-উজ-জামান এর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 488268111866521054

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item