জেলা পরিষদ নির্বাচন জমে উঠেছে পীরগঞ্জে!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ
আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী জেলা পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে রংপুরের পীরগঞ্জেও নির্বাচনী আমেজ বইছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। প্রার্থীদের নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়ে গেছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশল গ্রহন করছেন। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে শুধুমাত্র জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে দলীয় প্রার্থী দেয়া হলেও পীরগঞ্জে আকষ্মিকভাবে সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আ’লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনীত করায় দলের প্রতি নাখোশ হয়েছেন প্রার্থীরা। তবে দলের স্বার্থে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদেরকে যেকোন ত্যাগ করার তাগিদ দিয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় আ’লীগ কার্যালয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন ও দলীয় প্রার্থী নিয়ে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলা পরিষদের অধীনে পীরগঞ্জকে ১৩, ১৪ ও ১৫নং এই ৩টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ১৩ নং ওয়ার্ডের আওতায় পীরগঞ্জের চৈত্রকোল, ভেন্ডাবাড়ী, বড়দরগা, কুমেদপুর ইউনিয়ন ও পীরগঞ্জ পৌরসভা; ১৪ নং ওয়ার্ডের আওতায় পীরগঞ্জ সদর, শানেরহাট, পাঁচগাছী, মিঠিপুর ও রামনাথপুর ইউনিয়ন এবং ১৫নং ওয়ার্ডের আওতায় মদনখালী, টুকুরিয়া, বড়আলমপুর, রায়পুর, চতরা ও কাবিলপুর ইউনিয়ন নিয়ে ওয়ার্ডগুলো গঠিত হয়েছে। পৌরসভা ও ওইসব ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র এবং কাউন্সিলররা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রংপুরে মোট ১ হাজার ৭৮ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পীরগঞ্জে ২’শ ১১জন ভোটার রয়েছেন।
সুত্র জানায়, ১৩নং ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থীরা হলেন- আরিফ সরকার (হাতি প্রতীক), আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সর্দার (তালা প্রতীক) ও আব্দুল হাকিম মিয়া (নলকুপ)। ১৪নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থীরা হলেন- খন্দকার সুমন মিয়া (নলকুপ), আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত শহিদুল ইসলাম (হাতি প্রতীক), রাশেদুল ইসলাম (তালা), হামিদুর রহমান মঞ্জু (অটো রিক্সা) এবং শাহাদত হোসেন সাদা (ঘুড়ি)। ১৫নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থীরা হলেন- আলহাজ্ব খলিলুর রহমান মন্ডল (তালা প্রতীক), রনি মিয়া (হাতি) ও সাজু মিয়া (বক)। অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোনছেফা পারভীন (ফুটবল) এবং আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত গোলাপী বেগম (হরিণ)। উলে¬খিত পদগুলোতে মোট ১৮ জন প্রার্থী ছিল। গত ৯ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় আ’লীগ দলীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে দল থেকে ৪জনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে ১১ ডিসেম্বর মাত্র ৬ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু প্রশাসক পদে দলীয় প্রার্থী দেয়া হয়েছে। আমরা স্থানীয় সিদ্ধান্ত কেন মানবো। হয়তো আমাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে দলীয় প্রার্থীরা বেকায়দায় পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম বলেন, দলের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। আজও (রোববার) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা  পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জরুরী সভা করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1398324435908786077

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item