বরফে রেখে মাছ কতদিন পর্যন্ত খাওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
মাছে-ভাতে বাঙ্গালি; এটা জানা কথা। মাছের দূরারোগ্য ব্যাধির কারণে প্রায় এক-দুই যুগ ধরে সাধু পানির মাছ বা দেশী মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। বিদেশী মাছ দিয়েই দেশী মাছের অভাব পূরণ করা হয়। তাও পুকুরে চাষযোগ্য বিদেশী মাছগুলোর বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় সাগরের নাম না জানা নানা মাছ বাজার থেকে কিনে খাচ্ছে সাধারণ জনগণ। তবে এগুলো জীবিত বা টাটকা পাওয়া গেলে তো কোন কথাই থাকতো না। মাছগুলো বাজারে কেনার সময় দেখা যায়, শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ভিতরের মজ্জাসহ শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবু আমরা খাচ্ছি।
রুপসা, হাঙ্গর, পিরানহা,রকেট,পাঙ্গাস প্রভৃতি মাছগুলো বরফে ঢেকে প্যাকেটজাত করে দেশের নানা জায়গায় বাজারজাত করা হয়। দেশের উত্তরে সাগর না থাকায় দক্ষিণ থেকে মাছগুলো উত্তরে বাজারজাত করার জন্য নিয়ে আসে ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু মাছগুলোকে কবে প্যাকেটজাত করা হয়েছে এবং কতদিন পর্যন্ত এসব মাছ খাওয়া যাবে;তার কোন তারিখ বা ডেট দেওয়া থাকে না। যেমনটি থাকে ফুড এন্ড বেভারেজ সামগ্রীতে। সাধারণ জনগণ অনায়াসে সেসব মাছ খেয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা গেছে, এসব মাছ খেয়ে ডায়রিয়া, পাঁচড়া বা এলার্জিটিক জাতীয় নানা রোগের সৃষ্টি হয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী বাবুল বলেন, চালানি (বিদেশী) মাছের তো অভাব; তাই এসব মাছ কিনে এনে ব্যবসা করে থাকি। বাঁচতে তো হবে! এটা ঠিক যে, এই মাছগুরো সতেজ রাখার জন্য বরফের সাথে ফরমালিন মেশানো হয়। নাহলে মাছি পড়ে না কেন?
চিলাহাটি বাজার থেকে মাছ ক্রেতা হাবিব বলেন, দেশী মাছ তো বাজারে নেই। তাই না পেয়ে সাগরের পখি (হাঙ্গর)মাছই নিয়ে যাচ্ছি। নাম নাজানা মাছগুলো খেতে সুস্বাদু। তবে এলার্জি কেন জানি হচ্ছে।
শিক্ষক এরশাদুল হক বলেন, প্যাকেট কবে করেছে, এটা আমরা জানি না। তবু মাছের অভাব পূরণ করার জন্যই এই সাগরের মাছগুলো খেয়ে থাকি। কিন্তু মাছগুলো কবে ধরা হয়েছে, আর কবেই বা প্যাকেটজাত করা হয়েছে; আর কতদিন এর মেয়াদকাল থাকবে, তা সাধারণ জনগণ জানি না। বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন না। শুধু কয়েক মাস পর পর কর্মকর্তাগণ কয়েকটি দোকান তদন্ত করে চলে যান। এসব ক্ষেত্রেও তাঁদের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
সচেতন মহল বলছেন, ফরমালিন ফল,খাদ্য সামগ্রী, পচনশীল পণ্যদ্রব্যে ব্যবহার হরহামেশাই দেখা যায়। এগুলো নিয়ন্ত্রণকারী সরকারের নানা সংস্থা থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয় নাম মাত্র। তাই জনাস্বার্থে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা অতিব জরুরী।প্যাকেটজাত বরফে ঢাকা সাগরের মাছ ঠিক কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায় বা মাছগুলো কতদিন পর্যন্ত খেলে রোগের সৃষ্টি হবে না। সেটা জনসাধারণের জানানো দরকার। নাহলে অন্যান্য রোগের মতো অজানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কারণ, ফুড এন্ড বেভারেজ সামগ্রীর মতোই মাছও একটি খাদ্য। তাই সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 5165506681512819949

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item