সরকারী জমি উদ্ধার করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার নবাবগঞ্জের ইউএনও ।

মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

    দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বন বিভাগের সরকারী জমি উদ্ধার করতে গিয়ে,ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৭ জন বনকর্মকর্তা।
    ষড়যন্ত্র মুলক মামলার অপর আসামীরা হলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া, রেঞ্জ কর্মকর্তা রঞ্জিবুল আমিন, রেঞ্জবীট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি মনিরুজ্জামান, আফতাব গঞ্জ বীট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশীকান্ত বনমালি,বনমালী সামছুল ইসলাম।
    মধ্যপাড়া রেঞ্জকর্মকর্তা রঞ্জিবুল আমিন বলেন, নবাব গঞ্জ উপজেলার মাদারপুর মৌজার ৭০৫ নং দাগের ১৪ শতক জমি আত্মসাত করার জন্য, বন বিভাগকে পাশকাটিয়ে, মাদারপুর গ্রামের খোকন সরকারের ছেলে লক্ষিকান্ত সরকার একই এলাকার ভুবন চন্দ্রর ছেলে হরিপদ সরকারে সাথে যোগসাজ করে,হরিপদকে বিবাদি করে গত ২০১০ সালে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করে, আদালতকে মিথ্যা তথ্যদিয়ে এক তরফা একটি রায় নিয়ে এসে বনবিভাগের আফতাব গঞ্জ বীটে কার্য্যলয়ের জায়গা দখল করার অপচেষ্টা করে তারা, এই ঘটনায় বন বিভাগ আদালতের আশ্রয় নিলে, মাননীয় আদালত চলতি বৎসরের গত ১লা ডিসেম্বর, লক্ষিকান্তর  পক্ষে দেয়া রায় বাতিল করে দেন। আদালতের রায় নিয়ে, গত ১২ ডিসেম্বর নবাবগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশিদ এর উপস্থিতে, বন বিভাগের জায়গা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় লক্ষিকান্তর মেয়ে দুলালী রানী বাদি হয়ে, গত ১৪ ডিসেম্বর দিনাজপুর আদালতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ৬ বনকর্মকর্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক  একটি মিথ্যামামলা দায়ের করেন।
    এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, মাননীয় আদালতের আদেশ বলে সরকারী জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
    অপরদিকে এই বিষয়ে মামলার বাদি দুলালী রানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বনকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভাংচুরের অভিযোগ করেন। কিন্তু বনবিভাগের কর্মকর্তারা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশিদ ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করেন।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 3712234624429906934

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item