বিজিবির প্রচেষ্টায় সীমান্তে হত্যা কমেছে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্কঃ
বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সীমান্তে হত্যা কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার পিলখানায় বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা আমাদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনাদের প্রচেষ্টায় বিএসএফের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সীমান্তে হত্যার ঘটনা অনেকটা কমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘঠিত বিডিয়ার বিদ্রোহ আমাদের জাতীয় জীবনে একটি কালো অধ্যায়। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করে। নতুন সরকার গঠনের আড়াই মাসের মাথায় এই বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছিলো।
এই ন্যাক্কারজনক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আমাদেরকে তখন মোকাবেলা করতে হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের চক্রান্তকারীদের সকল অপতৎপরতা আমরা ধৈর্য্য ও সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছিলাম। এ বাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম তা আন্তর্জাতিকভাবে আজ প্রশংসিত।
বিজিবি সদস্যেদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় জাতি সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলো বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি সদস্য হিসেবে আপনাদের বিশ্বস্ততা পরীক্ষিত। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা বিজিবি আজকে একটি গতিশীল ও আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। কঠোর পরিশ্রমে এই বাহিনীর সুনাম ও মযাদা পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা শুরু করে। সেই মুহূর্তে জাতির পিতা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনামা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তখনকার ইপিআর (বিজিবি) এক বেতার কর্মীর কাছে পূর্বেই পৌঁছে দেয়া হয়েছিলো। নির্দেশ ছিলো কোন সময় তারা এটা প্রচার করবে সঠিক সময়ে তারা এই জাতির পিতা নির্দেশনা অর্থাৎ স্বাধীনতার ঘোষণার বাণী তারা প্রচার করে। বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশনা ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়।/

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 7034272111061586954

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item