শেষ সময়ের জনমত জরিপে এগিয়ে ট্রাম্প

ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এখন বেশ উত্তপ্ত নির্বাচনী প্রচারণা শিবির। কে কাকে ছাড়িয়ে গেছে বা কে এগিয়ে আছে- এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতদিন জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
কিন্তু গতকালের এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, হিলারিকে টপকে এক পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন ধনকুবের ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিসির জরিপে ১ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো হিলারিকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হলেন নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া ট্রাম্প।
এবিসি টেলিভিশন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট পরিচালিত এ জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৪৬ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দেবেন। অন্যদিকে, শতকরা ৪৫ ভাগ ভোটার বলছেন, তারা হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করবেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে এ জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গ্যারি জনসন শতকরা ২ শতাংশ এবং গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন ২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। জরিপের এমন ফলে ট্রাম্প সমর্থকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও কিছুটা হতাশা নেমে এসেছে ডেমোক্র্যাটিক শিবিরে।
গত ২৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ জরিপ কাজ পরিচালনা করা হয়। এতে টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে প্রাপ্তবয়স্ক ১ হাজার ৭৭৩ জন মার্কিন নাগরিকের মতামত নেয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, ই-মেইল কেলেঙ্কারিতে নতুন করে হিলারির বিরুদ্ধে মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তদন্ত শুরুর পর হিলারির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি থাকতেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের নতুন করে তদন্ত শুরু করার খবরটি সামনে আসে। হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ইমেইল আদান-প্রদান করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে আদান-প্রদান করা ইমেইলগুলোতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েরও উল্লেখ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল ছাড়া ক্লাসিফায়েড তথ্য আদান-প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ধরনের অনিরাপদ চ্যানেলের মাধ্যমে অতি গোপনীয় ইমেইল ফাঁস হওয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে মার্কিন সরকার। তবে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেও হিলারির দাবি, তিনি ভুল কিছু করেননি।
হিলারির ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে ইমেইল আদান-প্রদানের কারণে আইন ভঙ্গ হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। গত ২৯ জানুয়ারিতে সংস্থাটির অনুরোধে হিলারির ২২টিরও বেশি ইমেইলকে ‘অতি গোপনীয়’ বলে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। আর জুলাই মাসে প্রথম ধাপের তদন্ত শেষ করে এফবিআই।
সম্প্রতি এফবিআই থেকে জানানো হয়, হিলারির ইমেইল নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি। ওই তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে এমন নতুন কিছু ইমেইলের সন্ধান পাওয়ায় তদন্ত হবে। হিলারির প্রচারণা শিবিরের ভাইস চেয়ারপার্সন হুমা আবেদিনের ইমেইল তদন্তের জন্যও এফবিআই-এর কাছে একটি ওয়ারেন্ট আছে বলে জানানো হয়।
আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২০০ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ভোটার রয়েছেন। এরইমধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগাম ভোট দিয়েছেন ২০ মিলিয়ন ভোটার।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 7209442592436466725

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item