পীরগাছায় পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান, আটক ২ অতঃপর ৪৭ শিক্ষার্থীর অনুপস্থিত
https://www.obolokon24.com/2016/11/rangpur_67.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)থেকেঃ
রংপুরের পীরগাছায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কুটিপাড়া কেন্দ্রে ভূয়া পরীক্ষার্থী এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার “পীরগাছায় প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভূয়া পরীক্ষার্থীর ছড়াছড়ি” শিরোনামে একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরের দিন বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুটিপাড়া কেন্দ্রে দুই ভূয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করায় বৃহস্পতিবার প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকেন।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ কেন্দ্রে ৩শত ৮৭ টি প্রতিষ্টানের মোট ৮ হাজার ৪শত ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে বালক ৪ হাজার ১ শত ৮ জন বালিকা ৪ হাজার ৩শত ৩৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। গত সোমবার কুটিপাড়া কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, ৯৪ টি শিক্ষা-প্রতিষ্টানের মোট ১ুুুহাজার ৫শত ২৩ জন শিক্ষার্থী সমাপনি পরীক্ষায় অয়শ গ্রহণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারলে কুটিপাড়া কেন্দ্রে সরকারী বেসরকারী মিলে প্রায় ৩৫ টি শিক্ষা-প্রতিষ্টানের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী নাম ও বয়স গোপন করে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন-সোমবার বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে কুটিপাড়া কেন্দ্রের কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেন্যুতে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। কাশিম, জিগাবাড়ী, রামসিং, দামুস্বর আদর্শ, তাজতালুক, ও দৌলতখাঁ সরকারীসহ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সদ্য সমাপ্ত জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষার ফলপ্রার্থী ও এসএসসি পাশকরাগণ সমাপনি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেন্যুতে কাশিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আপেল মিয়া পিএসসি রোল-৩৫৮৫ (৭ নম্বর রুমে) পরীক্ষা দিচ্ছেন। যার প্রকৃত নাম ছগির আলম জেএসসি রোল-৫৩৭০৯১ বলে অকপটে স্বীকার করেন। আর এক শিক্ষার্থী আমির হামজা পিএসসি রোল-৩৫৮৬ পরীক্ষা দিচ্ছেন। যার প্রকৃত নাম লিওন মিয়া জেএসসি রোল-৫৩৭০৭৯ বলে সে স্বীকার করেন। ওই রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন। রামসিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আইয়ুব হোসেন রোল-৩৬৪৭ নাম ও রোল ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামের পুত্র যিনি সদ্য সমাপ্ত জেএসসি’র ফল প্রার্থী। গত বুধবার বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম কুটিপাড়া কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুই জন ভূয়া শিক্ষার্থীকে আটক করেন। আটক দুই শিক্ষার্থী আপেল ও আমির হামজার বদলী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। আটক দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আওতায় ছেড়ে দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলার কারণে প্রবেশ পত্রে ছবি পরিবর্তন সাপেক্ষে অফিসের সীল ব্যবহার করে প্রতিদিনেই বদলী পরীক্ষার্থী হিসেবে আসছেন নতুন নতুন পরীক্ষার্থী। এদিকে গত বুধবার দুই শিক্ষার্থী আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভূয়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করায় পরের দিন বৃহস্পতিবার ইসলাম ধর্ম পরীক্ষা দেয়ার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থীরা রুমে প্রবেশ করলেও তার শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করে একে একে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে বেড়িয়ে যান। ফলে ওই দিন কুটিপাড়া কেন্দ্রে ৪৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল বলে সুত্রে জানা যায়। এদিকে রোববার প্রাথমিক গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন স্থানীয় প্রশাসন ভূয়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ওই কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করলে আরো শতাধিক ভূয়া শিক্ষার্থী চিহ্নিত করা সম্ভব বলে শুশীল সমাজ মনে করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আটক দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্বায় দেওয়া হয়েছে। জড়িত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুরের পীরগাছায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কুটিপাড়া কেন্দ্রে ভূয়া পরীক্ষার্থী এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার “পীরগাছায় প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভূয়া পরীক্ষার্থীর ছড়াছড়ি” শিরোনামে একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরের দিন বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুটিপাড়া কেন্দ্রে দুই ভূয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করায় বৃহস্পতিবার প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকেন।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ কেন্দ্রে ৩শত ৮৭ টি প্রতিষ্টানের মোট ৮ হাজার ৪শত ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে বালক ৪ হাজার ১ শত ৮ জন বালিকা ৪ হাজার ৩শত ৩৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। গত সোমবার কুটিপাড়া কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, ৯৪ টি শিক্ষা-প্রতিষ্টানের মোট ১ুুুহাজার ৫শত ২৩ জন শিক্ষার্থী সমাপনি পরীক্ষায় অয়শ গ্রহণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারলে কুটিপাড়া কেন্দ্রে সরকারী বেসরকারী মিলে প্রায় ৩৫ টি শিক্ষা-প্রতিষ্টানের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী নাম ও বয়স গোপন করে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন-সোমবার বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে কুটিপাড়া কেন্দ্রের কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেন্যুতে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। কাশিম, জিগাবাড়ী, রামসিং, দামুস্বর আদর্শ, তাজতালুক, ও দৌলতখাঁ সরকারীসহ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সদ্য সমাপ্ত জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষার ফলপ্রার্থী ও এসএসসি পাশকরাগণ সমাপনি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেন্যুতে কাশিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আপেল মিয়া পিএসসি রোল-৩৫৮৫ (৭ নম্বর রুমে) পরীক্ষা দিচ্ছেন। যার প্রকৃত নাম ছগির আলম জেএসসি রোল-৫৩৭০৯১ বলে অকপটে স্বীকার করেন। আর এক শিক্ষার্থী আমির হামজা পিএসসি রোল-৩৫৮৬ পরীক্ষা দিচ্ছেন। যার প্রকৃত নাম লিওন মিয়া জেএসসি রোল-৫৩৭০৭৯ বলে সে স্বীকার করেন। ওই রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন। রামসিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আইয়ুব হোসেন রোল-৩৬৪৭ নাম ও রোল ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামের পুত্র যিনি সদ্য সমাপ্ত জেএসসি’র ফল প্রার্থী। গত বুধবার বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম কুটিপাড়া কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুই জন ভূয়া শিক্ষার্থীকে আটক করেন। আটক দুই শিক্ষার্থী আপেল ও আমির হামজার বদলী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। আটক দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আওতায় ছেড়ে দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলার কারণে প্রবেশ পত্রে ছবি পরিবর্তন সাপেক্ষে অফিসের সীল ব্যবহার করে প্রতিদিনেই বদলী পরীক্ষার্থী হিসেবে আসছেন নতুন নতুন পরীক্ষার্থী। এদিকে গত বুধবার দুই শিক্ষার্থী আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভূয়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করায় পরের দিন বৃহস্পতিবার ইসলাম ধর্ম পরীক্ষা দেয়ার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থীরা রুমে প্রবেশ করলেও তার শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করে একে একে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে বেড়িয়ে যান। ফলে ওই দিন কুটিপাড়া কেন্দ্রে ৪৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল বলে সুত্রে জানা যায়। এদিকে রোববার প্রাথমিক গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন স্থানীয় প্রশাসন ভূয়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ওই কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করলে আরো শতাধিক ভূয়া শিক্ষার্থী চিহ্নিত করা সম্ভব বলে শুশীল সমাজ মনে করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আটক দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্বায় দেওয়া হয়েছে। জড়িত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।