সাদুল্লাপুরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সংঘর্ষ ভারসাম্য হারিয়ে এক ছাত্রী রংপুর মেডিকেলে!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল  ঃ
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে গেল চুমকি রানীর। বিদ্যালয়ের  ম্যানেজিং কমিটির মাঝে সংঘর্ষের ভয়ংকর দৃশ্য দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে চুমকি এখন রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পীরগঞ্জের পার্শ্ববর্তী খোর্দ কোমরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা ও অভিযোগে জানা গেছে, পীরগঞ্জের পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের খোর্দ কোমরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক- বোরহান মিয়া এবং তারই ভাগিনা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফিরোজ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাউকে পাত্তা না দিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছে। এ নিয়ে ওই কমিটির দাতা সদস্য ডাঃ এমএ জোব্বার মিয়ার সাথে বিরোধ চলছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৩ আগষ্ট স্কুল চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের ভিতরেই ওই দাতা সদস্যকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির লোকজন বেধড়ক পেটায়। এ সময় বিদ্যালয়টির ১০ শ্রেনীর ছাত্রী কুমারী চুমকি রানী পেটানোর ভয়ংকর দৃশ্য দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জ্যোতির্ময় রায়ের চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা শ্রী অরবিন্দ চন্দ্র বর্মন জানান, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেউ আমার মেয়ের খোঁজ নেয়নি। আমার মেয়ে খুব ভাল ছাত্রী, সে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। সে এখন মানসিক রোগী। চিকিৎসা করার মতোও আমার সামর্থ্য নেই। তিনি আরও জানান- গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে ঘটনাটির বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। সেখানেও বিচার পাইনি। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বোরহান মিয়া বলেন- ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে মারামারি হয়েছে। সাদুল্লাপুর থানার ওসি ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন- বিদ্যালয়টির ভিতরে মারামারির ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামলা করেছে। অপরদিকে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগে দাতা সদস্যও মামলা করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 3970574181402452051

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item