ফলো আপ-জয়নাব বানুর দাফনে যৌতুক লোভী স্বামী মানিক অংশ নেয়নি!

বিশেষ প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর॥
যৌতুকলোভী স্বামী এনজিও কর্মকর্তা তার স্ত্রী জয়নাব বানুর দাফনে অংশগ্রহন করেনি। এমনকি স্ত্রীর মরদেহের মুখখানাও তিনি একনজর দেখতে না এসে মোবাইল বন্ধ রেখে আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় জয়নাবের বাবার পরিবারের পক্ষে এই অভিযোগ করে বলা হয় স্বামীর কারনেই জয়নাব আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এ জন্য তারা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা প্রস্তুতির কথা ভাবছেন। জয়নাবের স্বামী ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চাপানি গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তিনি একজন এনজিও কর্মকর্তা। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় তিনি কর্মরত রয়েছেন পপি নামের একটি এনজিও’র ব্যবস্থাপক হিসাবে।
স্ত্রীর জানাজা ও দাফনে স্বামীর অংশ গ্রহন না করার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে। সেই সাথে জয়নাব বানুর আত্মহত্যার বিষয়টি যে প্ররোচিত তার প্রমান করছে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিমলা থানার পুলিশ বলছে জয়নাবের বাবার পরিবারের পক্ষে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দিলে তা অবশ্যই গ্রহন করা হবে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ই-সেন্টারের প্রশিক জয়নাব বানু (২৮)  বাবা জামিয়ার রহমানের ডিমলা উপজেলার রাজবাড়ি পাড়ার বাড়ীর ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল।
তবে এ ঘটনায় ডিমলা থানায় প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা দায়ের করার পর গতকাল শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার মর্গে জয়নাবের মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয়। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় জয়নাব বানুকে তার বাবার গ্রামের বাড়ী ডোমার উপজেলার মৌজা পাঙ্গা গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। পুত্রবধু জয়নাবের জানাজা ও দাফন কাজে অন্যান্য মুসল্লিদের সঙ্গে শ্বশুড় সাদেক হোসেন অংশ নিলেও জয়নাবের স্বামী এতে অংশ নেননি বলে অভিযোগ করেন জয়নাবের বাবা।
জয়নাব বানু ২০১০ সাল থেকে ডিমলা উপজেলা ই-সেন্টারের প্রশিক হিসেবে কাজ করে আসছিল। যৌতুকের বাকী চার লাখ টাকার কারনে স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিয়ের প্রায় দুই বছরেও জয়নাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে বধু হিসাবে তুলে নিয়ে যায়নি।
সুত্র মতে, ২০১৪ সালে নবেম্বর মাসে জয়নাব বানুর বিয়ে হয় মোস্তফিজুর রহমান মানিকের সঙ্গে। বিয়ের সময় যৌতুকের জন্য ১০ লাখ টাকার মধ্যে নগদ ৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। বাকী আর ৪ লাখ টাকা দেয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। ঈদুল আযাহায় জয়নাব স্বামীকে ঈদের জন্য তার বাবার বাড়িতে আসতে বলে। এমনকি তাকে শ্বশুড়বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঈদ করার আবেদন করেছিল। কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন জয়নাব বানুকে ঈদে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়নি। এ নিয়ে মোবাইলে জয়নাবের স্বামীর সাথে বিবাদ সৃস্টি হওয়া জয়নাব আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 154770971794458734

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item