রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুম সংকটে ব্যহত শিক্ষা কার্যক্রম:বিপাকে শিক্ষার্থীরা

হাজী মারুফ :

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চাহিদার তুলনায় একাডেমিক ভবন ও ক্লাসরুম কম হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ক্লাস করার সুযোগ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের মধ্যে দুই-একটা বিভাগ ছাড়া প্রায় প্রত্যেকটি বিভাগেই রয়েছে ক্লাসরুম সংকট। যার মধ্যে লোক প্রশাসন বিভাগের চারটি ব্যাচের বিপরীতে রয়েছে দুই টি ক্লাসরুম। ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগে পাঁচটি ব্যাচের বিপরীতে রয়েছে দুইটি ক্লাসরুম। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ছয়টি ব্যাচের বিপরীতে দুটি, রসায়ন বিভাগে ছয়টি ব্যাচের বিপরীতে দুটি, বাংলা বিভাগে সাতটি ব্যাচের বিপরীতে তিনটি এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে নিদিষ্ট কোন ক্লাস রুম না থাকায় তারা পাঁচটি ব্যাচের বিপরীতে একটি মাত্র অস্থায়ী ক্লাসরুম নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম।

এব্যপারে বিক্ষুদ্ধ বাংলা বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বিভাগে মোট ৭টি ব্যাচ রয়েছে। আর এর বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৩টি ক্লাস রুম। অনেক সময় আমরা যখন ক্লাস করতে আসি, তখন দেখি অন্য ব্যাচের ক্লাস হচ্ছে। যার ফলে আমাদের ঘণ্টা-ঘণ্টা সময় নষ্ট করে ক্লাসরুমের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এমন অভিযোগ রয়েছে অন্যসব বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদেরও। এসময় পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তপন,সজিব,শিহাবসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ৫টি ব্যাচ থাকার সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত আমাদের কোন স্থায়ী ক্লাসরুম নাই। যেখানে অন্যান্য বিভাগের ৪ থেকে ৫ টি ক্লাসরুম রয়েছে, সেখানে আমাদের মাত্র ১টি ক্লাস রুম রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মতো অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদেরও। বাংলা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখানে ক্লাসরুমের সংকট রয়েছে। কিন্তু বিভাগ বৃদ্ধির তুলনায় একাডেমিক ভবন না বাড়ায় এ সংকট এখন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অতিরিক্ত বিভিন্ন বিভাগ প্রতিষ্ঠার ফলেই এই ক্লাসরুম সংকট দেখা দিয়েছে। সামনে একাডেমিক ভবন নির্মাণের আলাদা বাজেট আসার কথা রয়েছে। বাজেট পেলে দ্রুত একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।