জলঢাকায় দুর্ঘটনায় নিহত-৬ জনের দাফন সম্পন্ন।এলাকায় শোকের ছায়া

মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) সংবাদদাতা ঃ

দুপুরে খাওয়া শেষে পার্শ্ববর্তী সেকেন্দারের ব্যাটারী চালিত ভ্যান যোগে মামাতো বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর যাচ্ছিলাম। মা বোন ভাইসহ আমার পরিবার। ঠিকঠাক ভাবে তারাগঞ্জ পর্যন্ত পৌছেও ছিলাম কিন্তু হঠাৎ বজ্রপাতের মত একটি বাস পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে আমি আমার কোলের সন্তানকে  নিয়ে কিভাবে নেমেছি জানিনা। ঘুরে দেখি আমার মা, ভাই, ভাবী, বোন, ও চার বছরের ভাতিজা এরা সবাই লাশ হয়ে মাটিতে পরে আছে। আমার স্ত্রী তাহেরাও বেচে গেছে বলে হাউমাউ করে কেদে এভাবেই দুর্ঘটনা থেকে বেচে যাওয়া শফিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় সৈয়দপুরে তারাগঞ্জ জিগাতলা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জলঢাকার এক পরিবারের ৫ জনসহ ৬জন নিহত হয়। নিহতরা হলেন, সহিদুল ইসলাম বাবু (৪২), স্ত্রী আজিজন নাহার দুলি (২৮), রওশনারা বেগম (৫৫) শাহানাজ পারভীন দুলালী (২২), মোহতাছিম (৪) ও ভ্যান চালক সেকেন্দার আলী (১৬) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত ৬ জনেরই বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের চেংমারী মাজার এলাকায়। মৃত্যু সংবাদে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। রাত ৯টায় ট্রাক যোগে লাশগুলো বাড়িতে নিয়ে এলে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে একনজর দেখার জন্য। ঈদের আনন্দ যেন বিষাদে পরিনত হয় পরিবারটিতে। রাতেই স্থানীয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সমবেদনা জানাতে নিহত বাড়িতে কাছে ছুটে যান। পরিবারের কর্তা রুহুল্ল্যাহ (৬০) তার স্ত্রী কন্যা, ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে পাশ্ববর্তী ভ্যান চালক জামিয়ার রহমানের ছেলে সেকেন্দারের অকাল মৃত্যুতে তার বাড়িতেও শোকের মাতম চলছে। শুক্রবার রাতেই ভ্যান চালক সেকেন্দারের লাশ দাফন করে তার পরিবার। পরদিন শনিবার সকাল ৮টায় জানাজা শেষে দুর্ঘটনায় নিহত ৫জনকে পারিবারিক কবরস্থানে সারিবদ্ধভাবে দাফন করা হয়েছে।     

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1816107551951808010

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item