গ্রেফতারি পরোয়ারাভুক্ত আসামি হস্তান্তর করবে ভারত-বাংলাদেশ

ডেস্কঃ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্দিবিনিময় চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের হস্তান্তর করতে পারবে দুই দেশ।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়ে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি’ করে বাংলাদেশ। ওই বছরের ৭ অক্টোবর এই চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয় মন্ত্রিসভা।
সোমবার সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে চুক্তিটি কার্যকর রয়েছে। চুক্তির একটি ‘জটিল’ ধারা ভারত সরকার ‘সহজ’ করার অনুরোধ করেছিল।
যদি আমাদের দেশে কোনো জজ, ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাইব্যুনাল বা এ ধরনের অথরিটি অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করে থাকে আর সে যদি ভারতের লোক হয় তাহলে আমরা তার জন্য বহিঃসমর্পণের সুপারিশ করতে পারব।
বাংলাদেশের কেউ ভারতে আছে, কিন্তু বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গেছে, ট্রায়াল করার জন্য ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। অনুরূপভাবে ভারত সরকার যদি ওয়ারেন্ট থাকা কাউকে চায় আমরা তাকে হ্যান্ডওভার করে দেব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে গ্রেফতারি পরোয়ার থাকা কাউকে বিচারের সম্মুখীন করতে বহিঃসমর্পণের জন্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে হতো।
চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা সায় দেওয়ায় এখন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেই যে কাউকে বহিঃসমর্পণের সুপারিশ করা যাবে বলে শফিউল আলম জানান।
বাংলাদেশে ১৮ বছর কারাবন্দি থাকার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার নেতা অনুপ চেটিয়াকে গত বছর নভেম্বরে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। এর কয়েক দিনের মাথায় নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে ফিরিয়ে দেয় ভারত।
৮ বছর আগে বাংলাদেশে অনুপ চেটিয়ার সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে হস্তান্তরের বিষয়টি বহুদিন আটকে ছিল। বলা হচ্ছিল, আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তাকে ফেরানো যাচ্ছে না।
শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে দুই দেশের মধ্যে বহিঃসমর্পণ চুক্তি হলেও প্রমাণ দাখিলের বাধ্যবাধকতার কারণে ওই আইনে তাকে ফেরানো যায়নি। একই জটিলতা ছিল নূর হোসেনের ক্ষেত্রেও।
শেষ পর্যন্ত  তাদের হস্তান্তর করা হলেও তা বহিঃসমর্পণ চুক্তির আওতায় হয়নি বলে সে সময় জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে সেই ব্যাখ্যায় তিনি সে সময় বলেছিলেন, এটা বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে হয়নি। তাদের ছেড়ে দেয়ার আগে সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। এখন ছেড়ে দেয়ার পর তারা নিয়ে গেছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 8785749056374996562

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item