ডোমারে পবিত্র রমজান মাসে চলছে পঁচা মাছের জমজমাট ব্যবসা কর্তৃপক্ষ নিরব।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডোমারে পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে চলছে পঁচা মাছের জমজমাট ব্যবসা।  তা খেয়ে  এলাকার মানুষ  অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও দেখার যেনো কেউ নেই, কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকায়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষন হচ্ছে, অপরদিকে বিঘিœত হচ্ছে স্বাস্থ্য ও স্বাভাবিক পরিবেশ। এ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখাযায়, ডোমার পৌরসভার মাছের বাজারে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী পঁচা,বাসী,মাছ কম দামে  আড়ৎ থেকে খরিদ করে ডোমার বাজার সহ গ্রামের হাট বাজার গুলিতে বিক্রি করছে। যার কারনে অনেক রোজাদারের কষ্ট পোহাত হচ্ছে। মাছ ক্রেতা আনিছুর জানান, রমজান মাসে ডোমার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বাবুর কাছ থেকে মাছ কিনেছিলাম ১২০ টাকা ১কেজি। ইফতারী ও নামাজ শেষে ভাত খেতে বসতেই মাছের তরকারী গুলো তিতা ও দূর্গন্ধে খাওয়া দায় হয়ে পড়েছে। যেনো মনে হচ্ছে করলা দিয়ে ভাত খাচ্ছি। বিশেষ করে সাগরের মাছ যেমন রিঠা, রুপচান্দা, লাল কৌ, সাগরের চিলি সহ অনেক মাছে এ ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষনের বিষয়টি উপেক্ষা করে এ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক রমেশ বাবু জানান, মাছ হাটিতে গেলে পঁচা মাছের দূর্গন্ধে বাজারে থাকায় দায়, পরিবেশ দূষন সহ নানা স্বাস্থ’্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং অনেক মানুষ ড্রিসেন্ট্রিতে ভুগছে। উপজেলা স্যানেটারী ইন্সেসপেক্টর দুলালকে বহুবার বলা সত্তেও সে কর্ণপাত করছে না। দুলাল ও তার সহকর্মীরা ডোমার মাছ বাজার সহ বিভিন্ন হোটেল থেকে প্রতি মাসে মাসওয়ারা নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মাছ দোকানী কহিদুল বলেন, চিটাগাং থেকে পলেথিনএর ব্যাগে মাছ গুলি আনার কারনে নষ্ট হয়ে দূর্গন্ধ হচ্ছে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিরবতা পালন করছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু মাছ দোকানীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান ভুক্তভোগী ক্রেতারা।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 2694835227877218000

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item